উপকারিতার ভাণ্ডার শিং মাছ, রুগীর পথ্য থেকে পুষ্টির উৎস

শিং মাছ, যা জিওল মাছ নামেও পরিচিত, পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্যগত সুবিধার জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়। এই মাছকে অনেকেই রোগীর খাদ্য হিসেবে গণ্য করে থাকেন, কারণ এর নিয়মিত সেবন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহু গুণ বাড়িয়ে তোলে। শিং মাছের রয়েছে প্রচুর উপকারিতা এবং অসাধারণ পুষ্টিগুণ।

শিং মাছের পুষ্টিগুণ:

শিং মাছে প্রোটিন, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম শিং মাছে প্রায় ২২.৮ গ্রাম প্রোটিন, ২.৩ মিলিগ্রাম আয়রন এবং ৬৭০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো শিং মাছকে অন্য যেকোনো মাছের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর করে তোলে।

শিং মাছের স্বাস্থ্য উপকারিতা:

  • রক্তস্বল্পতা দূর করে: শিং মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা শরীরে নতুন রক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীদের জন্য শিং মাছের ঝোল খুবই উপকারী।
  • হাড় ও দাঁত মজবুত করে: এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতকে মজবুত ও দৃঢ় করে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য শিং মাছ নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।
  • শক্তি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: জিওল মাছ খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার হয়। এটি শরীরকে কফ ও বাতের সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
  • নবজাতকের মায়ের জন্য উপকারী: সন্তান প্রসবের পর যে মায়েদের বুকে দুধ কম হয়, তাদের জন্য শিং মাছ খাওয়া খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

শিং মাছের দীর্ঘ ও চাপা দেহ এবং ক্ষুদ্রাকৃতির মাথা একে সহজে চেনা যায়। স্বাদে সুস্বাদু হওয়ায় এটি বিভিন্ন উপায়ে রান্না করা হয়। তবে রোগীর জন্য সাধারণত ঝোল হিসেবেই এটি প্রস্তুত করা হয়। সংক্ষেপে, শিং মাছের উপকারিতা বহুমুখী, যা একে আমাদের খাদ্যতালিকায় এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy