গরমে ত্বকের সমস্যা হচ্ছে? আছে ঘরোয়া সমাধান, এড়িয়ে না গিয়ে পড়ুন

যাঁরা খুব বেশি ঘামেন তাঁরা দুই-তিনবার স্নান করুন: স্নান আপনার শরীরকে শীতল রাখবে৷ খুব চড়া গন্ধের সাবান ব্যবহার করবেন না, হালকা কোনও বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন, তাতে ত্বকে পিএইচ ব্যালান্স বজায় থাকবে৷ প্রতিবার স্নানের পর অন্তর্বাসসহ সব পোশাক বদলে ফেলুন৷ স্নানের পর একগাদা পাউডার মাখবেন না, বরং অ্যালো ভেরা বা অলিভ অয়েলযুক্ত হালকা কোনও লোশন লাগিয়ে নিন৷ একস্ট্রা ভার্জিন নারকেল তেলও চলতে পারে৷ আর সুতির পোশাক মাস্ট৷

অ্যালো ভেরা জেল মজুত রাখুন হাতের কাছে: অ্যালো ভেরা জেল বা তাজা অ্যালো ভেরার নির্যাস, দুটোই সমান কার্যকর৷ ত্বকের সমস্যায় খুব কাজে দেয় অ্যালো ভেরা, স্পর্শকাতর ত্বকেও তা ব্যবহার করা যায়৷ তবে খেয়াল রাখবেন, অ্যালো ভেরা জেল একেবারে স্বচ্ছ হয়৷ বাজারচলতি কোনও প্রডাক্টে রং মেশানো থাকলে তা এড়িয়ে চলুন৷

নিমপাতা খুব ভালো অ্যান্টিসেপটিক: নিমের তেল, নিমপাতা বাটা দুটোই খুব ভালো কাজে দেয় চুলকানির সমস্যায়৷ তবে ত্বকে ব্যবহারের নিমপাতা বাটার জন্য একটা আলাদা ব্লেন্ডার বা শিল-নোড়া রাখবেন, তাতে অন্য কাজ যেন না হয়৷ এক বালতি জলে এক মুঠো নিমপাতা ভিজিয়ে রোদে রাখুন ঘণ্টাখানেকের জন্য৷ স্নান শেষে পাতা সরিয়ে এই জলটা গায়ে ঢেলে নিন৷ নিমের পাতাযুক্ত সাবানও কিনতে পাওয়া যায়, সেটাও ব্যবহার করে দেখতে পারেন৷

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খুব কাজে দেয়: এক চাচামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার নিয়ে সরাসরি লাল হয়ে যাওয়া ত্বকে লাগান৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই চুলকানি কমে গিয়ে আরাম পাবেন৷ এটি অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি ফাঙ্গাল, ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রেখে তা আর্দ্র রাখে৷

বেকিং সোডা: এক কাপ বেকিং সোডা গুলে নিন বাথটবের জলে৷ সেই জলে আধ ঘণ্টা গা ডুবিয়ে বসে থাকুন৷ তার পর এক মগ জলে গা ধুয়ে মুছে নিন৷

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy