সপ্তাহের প্রথম দিনেই কলকাতার বেহালায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ১২ সি রুটের একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেট্রোরেলের গার্ডওয়ালে সজোরে ধাক্কা মারে। এই ভয়াবহ সংঘর্ষে বাসের সামনের অংশ সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর বাসে থাকা ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল এবং হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের তীব্রতায় বাসের সামনের কাচ ভেঙে যায় এবং কিছু যাত্রী আসন থেকে ছিটকে পড়েন। দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারের পাশাপাশি বাসটিকেও আটক করে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এর ঠিক একদিন আগেই, অর্থাৎ রবিবারও শহরে একটি বাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে চলন্ত একটি সরকারি বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। বাসে তখন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। তবে চালক এবং কন্ডাক্টরের তৎপরতায় যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
টানা দুই দিনে দুটি বড় বাস দুর্ঘটনার কারণে কলকাতার নিত্যযাত্রীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সোমবারের বেহালার ঘটনাটি শহরের গণপরিবহনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, অনেক বাসের রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথ নয় এবং চালকদের বেপরোয়া মনোভাব ও অতিরিক্ত গতি দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
বেহালার দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তারা বাস চালক ও আহত যাত্রীদের বয়ান নেবে এবং কী কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারাল, তা খতিয়ে দেখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চালকদের অসাবধানতা এবং ট্র্যাফিক আইন না মানার প্রবণতা শহরে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারি ও বেসরকারি বাসের ওপর নজরদারি আরও বাড়ানোর দাবি উঠেছে।