বিহারে আবাসিক শংসাপত্র (domicile certificate) পেতে এবার ‘ক্যাট কুমার’ নামে একটি আবেদন জমা পড়েছে, যা সরকারি মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। আবেদনপত্রে নাম হিসেবে ‘ক্যাট কুমার’, বাবার নাম ‘ক্যাটি বস’ এবং মায়ের নাম ‘ক্যাটিয়া দেবী’ উল্লেখ করা হয়েছে। আবেদনপত্রের সঙ্গে একটি বিড়ালের ছবিও সংযুক্ত ছিল। এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের রোহতাস জেলায়।
এই ধরনের একটি ভুয়ো আবেদনপত্র পেয়ে রোহতাসের জেলাশাসক উদিতা সিং ক্ষুব্ধ হয়ে নাসিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করেছেন। এর ফলে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা যেতে পারে। এই কারণে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করার পাশাপাশি আরও একাধিক ধারায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিহারে এই ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। কিছুদিন আগেও পটনা এবং পূর্ব চম্পারণ জেলায় যথাক্রমে ‘ডগ কুমার’ এবং ‘সোমালিকা ট্র্যাঙ্কর’ নামে আবেদন জমা পড়েছিল। সেই ঘটনাগুলোরও তদন্ত চলছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিহারে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR) বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই আবাসিক শংসাপত্রের আবেদন অনেক বেড়েছে। কারণ, SIR প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য এই ধরনের শংসাপত্রের গুরুত্ব বেড়েছে। বিহারের বাসিন্দারা জনসেবা অধিকার আইনের অধীনে অনলাইনে এই আবেদন জমা দিতে পারেন। প্রতিটি আবেদনই যথাযথভাবে যাচাই করা হয়। এই ঘটনাটি সরকারি প্রক্রিয়ায় ফাঁকি দেওয়ার একটি চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।