তিরুবনন্তপুরম থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে মাঝ আকাশে প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেওয়ায় চেন্নাইয়ে জরুরি অবতরণ করানো হয়েছে। এই বিমানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, যিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলাম।”
কেসি বেণুগোপালের অভিযোগ অনুযায়ী, বিমানটি টেকঅফের কিছুক্ষণের মধ্যেই তীব্র এয়ার টার্বুল্যান্সের শিকার হয়। যদিও সমস্যাটি সম্পর্কে পাইলট যাত্রীদের জানান প্রায় এক ঘণ্টা পর। বেণুগোপাল তার পোস্টে লিখেছেন, “প্রায় এক ঘণ্টা পরে পাইলট আমাদের জানান যে সিগন্যালে ত্রুটি ধরা পড়েছে এবং বিমানটি চেন্নাইয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
তবে সমস্যা এখানেই শেষ হয়নি। অবতরণের সময়ও বড়সড় বিপত্তি ঘটে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “অবতরণের অনুমতি পেতে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। এরপরেও যখন অবতরণের চেষ্টা করা হয়, তখন পাইলট জানান যে রানওয়েতে অন্য একটি বিমান রয়েছে। পাইলট অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বিমানটিকে আবারও উপরে তুলে নেন। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় সফলভাবে বিমানটি অবতরণ করে।”
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বেণুগোপাল লিখেছেন, “আমরা হয়তো ভাগ্য কিংবা পাইলটের দক্ষতার জোরে বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু যাত্রীদের নিরাপত্তা ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া যায় না।” তিনি অবিলম্বে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA) এবং অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের কাছে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ভুল আর না ঘটে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
তবে এয়ার ইন্ডিয়া বেণুগোপালের অভিযোগের কিছু অংশ অস্বীকার করেছে। একটি বিবৃতিতে তারা বলেছে, “প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণেই চেন্নাইয়ে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল।” রানওয়েতে অন্য কোনো বিমান থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সংস্থাটি যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, গত জুনে আহমেদাবাদে একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান আছড়ে পড়েছিল, যাতে ২৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই ধরনের প্রযুক্তিগত ত্রুটির ঘটনা এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।