ভালোবাসা আর শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে গলার কাছে আলতো ছোঁয়া কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের মতামত সামনে এসেছে। প্রেমের এই স্পর্শ অনেক সময় শারীরিক উত্তেজনার বহ্নিশিখা জ্বালিয়ে তোলে। কবিরা যেমন কবিতায় গলার সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন, তেমনই যৌন বিশেষজ্ঞরা সম্পর্কের গভীরতা বাড়াতে গলার স্পর্শের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
গলার চুম্বনের মাহাত্ম্য:
স্পর্শকাতর অংশ: গলা শরীরের অন্যতম স্পর্শকাতর অংশ, যেখানে স্নায়ুতন্ত্রের ঘনত্ব বেশি। ফলে এই অংশে সামান্য স্পর্শ পেলে দ্রুত শরীরে এক ধরনের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ফোরপ্লে: সঙ্গমের আগে উত্তেজনা বাড়াতে ফোরপ্লে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গলার চুম্বন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং সঙ্গীদের দ্রুত উত্তেজিত করতে সাহায্য করে।
আবেগ প্রকাশ: চুম্বনের মাধ্যমে ভালোবাসা এবং আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা যায়। গলার চুম্বন এই আবেগগুলোকে আরও তীব্র করে তোলে এবং সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।
মানসিক বন্ধন: গলার চুম্বন শুধু শারীরিক আনন্দই দেয় না, এটি সঙ্গীদের মধ্যে মানসিক বন্ধনকেও আরও দৃঢ় করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, গলার চুম্বন করলে অক্সিটোসিন নামক হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়, যা ‘ভালোবাসার হরমোন’ নামে পরিচিত। এই হরমোন সঙ্গীদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা এবং বিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রাও কমে যায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দেন, সকলের পছন্দ একরকম হয় না। তাই সঙ্গীর পছন্দ সম্পর্কে জেনে নেওয়া এবং তার সম্মতি ছাড়া কোনো কিছু করা উচিত নয়। গলার চুম্বন শুধু শারীরিক আনন্দের জন্য নয়, এটি ভালোবাসা, আকর্ষণ এবং ঘনিষ্ঠতার এক শক্তিশালী প্রতীক।