আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বে তার ভূমিকা কী হতে পারে, সেই বিষয়ে শনিবার মুখ খুললেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। হুগলির চুঁচুড়ায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “দল যদি আমাকে কোনো দায়িত্ব দেয়, তাহলে আমি তা পালন করব। ভোটে দাঁড়াতে বললে দাঁড়াব, যেমন এর আগে তিনবার দাঁড়িয়েছি।” তার এই মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে।
শনিবার দিলীপ ঘোষ চুঁচুড়ার ষণ্ডেশ্বরতলা শিবমন্দিরে পূজা দেন, রাখি বন্ধন উৎসবে অংশ নেন এবং স্থানীয়দের সাথে ‘চা-চর্চা’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। নবান্ন অভিযানে নিহত তরুণী অভয়ার মায়ের আহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিনি নিজের কন্যাকে হারিয়েছেন এবং এখনো বিচার পাননি। পুলিশের উচিত ছিল তাকে সুরক্ষা দেওয়া, যাতে তার আঘাত না লাগে। কিন্তু তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে, যা সরকারের জন্য লজ্জাজনক।”
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা লোক পাঠিয়ে হামলা করিয়েছেন—এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই নিজের দলের বিরুদ্ধেও কথা বলেন, তাই তার কথায় ভরসা কম।” মহুয়া মৈত্র সংক্রান্ত বিতর্কে তিনি মন্তব্য করেন যে, একজন সিনিয়র রাজনীতিক এবং আইনজীবী হিসেবে তার আরও ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করা উচিত।
নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আন্দোলনে লাঠিচার্জ নতুন কিছু নয়। তবে আজকের আন্দোলন তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ ছিল।” রাস্তায় জাতীয় পতাকা পড়ে থাকার ঘটনাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেন এবং এর জন্য পুলিশের গাফিলতিকেই দায়ী করেন।
অভয়া মঞ্চের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতাকে দায়ী করার বিষয়ে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে বলেন, “আন্দোলনের আহ্বান অভয়ার বাবা-মা করেছিলেন, বিরোধী নেতা করেননি। মানুষ নিজেদের ইচ্ছায় সুবিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন।” পুলিশ কমিশনারকে গালিগালাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের ব্যক্তিগতভাবে কারও সঙ্গে কোনো ঝগড়া নেই। কে কী বলেছেন, তা আমার জানা নেই।”