PostOffice: কোনও রিস্ক ছাড়াই মিলবে ১৭ লাখ, দেখেনিন পোস্ট অফিসের এই স্কীম

স্বল্প সঞ্চয়ের মাধ্যমে একটি নিশ্চিত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা মানুষের জন্য পোস্ট অফিস আরডি (Recurring Deposit) স্কিম একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং নিরাপদ বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে। অন্যান্য বিনিয়োগ মাধ্যমের তুলনায় এতে যেমন ঝুঁকি নেই, তেমনই বর্তমানে ৬.৭% বার্ষিক সুদের হার এটি একটি লাভজনক বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে এই স্কিমে বিনিয়োগ শুরু করা যায়, যা দীর্ঘমেয়াদে একটি বিশাল তহবিল গঠনের সুযোগ করে দেয়।

কেন পোস্ট অফিস আরডি সেরা বিনিয়োগ?

পোস্ট অফিস আরডি স্কিমটি ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত, ফলে আপনার মূলধনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত। এটি একটি সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত প্রকল্প হওয়ায় অনেক ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটের চেয়ে বেশি সুদ প্রদান করে। এই স্কিমটি এমন মানুষদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী, যারা নিয়মিত এবং ছোট পরিমাণে সঞ্চয় করতে চান। বেতনভোগী কর্মচারী, গৃহিণী বা ছোট ব্যবসায়ীরা যারা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এটি আদর্শ একটি বিকল্প।

দৈনিক ৩৩৩ টাকার ম্যাজিক:

আপনি যদি প্রতিদিন মাত্র ৩৩৩ টাকা সঞ্চয় করেন, তবে আপনার মাসিক বিনিয়োগ দাঁড়াবে ১০,০০০ টাকায়। এই অঙ্কের বিনিয়োগ থেকে কীভাবে একটি বড় তহবিল তৈরি করা যায়, তার একটি সহজ হিসাব তুলে ধরা হলো:

৫ বছরের বিনিয়োগ: প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা করে ৫ বছর ধরে জমা করলে মোট বিনিয়োগ হবে ৬ লক্ষ টাকা। এই বিনিয়োগের ওপর আপনি সুদ পাবেন প্রায় ১.১৩ লক্ষ টাকা।

১০ বছরের বিনিয়োগ: যদি আপনি এই বিনিয়োগ ১০ বছর পর্যন্ত চালিয়ে যান, তবে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ১২ লক্ষ টাকা। এর ওপর সুদের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫.০৮ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে মোট তহবিল হবে ১৭.০৮ লক্ষ টাকা।

একইভাবে, যদি আপনি প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা করে ১০ বছর ধরে বিনিয়োগ করেন, তবে মোট বিনিয়োগ হবে ৬ লক্ষ টাকা, যার ওপর সুদ হিসেবে প্রায় ২.৫৪ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে মোট তহবিল হবে ৮.৫৪ লক্ষ টাকা।

বিনিয়োগের সুবিধা:

পোস্ট অফিসের আরডি স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলা এখন অনেক সহজ। মোবাইল বা ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই এটি খোলা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, ১০ বছর বা তার বেশি বয়সের যে কোনো নাবালকও অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। তবে, প্রাপ্তবয়স্ক হলে অ্যাকাউন্টটি নতুন নথি দিয়ে আপডেট করতে হবে।

প্রতি মাসে টাকা জমা দেওয়ার তারিখ নির্ভর করে অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখের ওপর। যদি কোনো মাসের ১৬ তারিখের আগে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, তবে ১৫ তারিখের মধ্যে টাকা জমা দিতে হবে। ১৬ তারিখের পরে অ্যাকাউন্ট খোলা হলে মাসের শেষ কার্যদিবসের মধ্যে টাকা জমা দেওয়া যায়।

**(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এটি শুধুমাত্র তথ্যমূলক প্রতিবেদন এবং কোনোভাবেই বিনিয়োগের পরামর্শ নয়। যেকোনো বিনিয়োগের আগে একজন আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।) **

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy