বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলায় এবার বিচারকের এক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানির সময় বিচারক স্পষ্টতই মন্তব্য করেন যে, এই ঘটনায় ‘অপরাধ সংঘটিত হয়েছে’। এই মন্তব্যকেই মামলার ভবিষ্যৎ গতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে, এদিন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুজাতা দে-র জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সুজাতা ৫৬ বছর বয়সী এবং প্রায় ২০ দিন ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করার সামর্থ্যও তাঁর নেই। আইনজীবী আরও দাবি করেন, তাঁর মক্কেল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
তবে বিচারক আইনজীবীর এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি। তিনি বলেন, ‘আইনের কোনও ফাঁক দিয়ে অভিযুক্ত সুবিধে পেয়ে যাবেন, এমনটা হয় না।’ এরপরই তিনি সিবিআইয়ের দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আপনার মক্কেলের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করার ক্ষেত্রে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সমাজে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।’
সিবিআইয়ের কৌঁসুলিও এদিন জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুনের ঘটনায় সুজাতা দে অন্যতম প্রধান চক্রী। সিবিআই আদালতকে আরও জানায়, যদি অভিযুক্ত জামিন পান, তাহলে তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন এবং এর ফলে প্রমাণ লোপাটেরও আশঙ্কা রয়েছে।
দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারক সুজাতা দে-র জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারকের এই কঠোর অবস্থান এবং ‘অপরাধ সংঘটিত হয়েছে’ বলে মন্তব্যে এই হাই-প্রোফাইল মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ হল বলে মনে করা হচ্ছে।