ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে ‘বিশেষ বন্ধুত্বের’ কথা বলা হয়, তা এখন আর বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, মাত্র দুই মাসের মধ্যে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির দ্বিতীয়বারের মতো আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, মার্কিন প্রশাসন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করছে।
মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে মুনিরের ঘনিষ্ঠতা
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ একটি এক্স বার্তায় বলেছেন, “ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের উস্কানিমূলক কথাতেই গত ২২ এপ্রিল পহলগামে জঙ্গি হামলা হয়েছিল, অথচ এই ব্যক্তিই এখন আমেরিকার কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন।” তিনি জানান, গত ১৮ই জুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মুনিরের বৈঠক হয়েছিল এবং এবার তিনি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিল্লার বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টাম্পায় যাচ্ছেন। জেনারেল কুরিল্লা এর আগে পাকিস্তানকে সন্ত্রাস দমনে ‘অসাধারণ বন্ধু’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।
জয়রাম রমেশের দাবি, এসব ঘটনা মোদীর সেই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করে যে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নয়াদিল্লিতে আমেরিকার কোনো স্থায়ী রাষ্ট্রদূত নেই এবং এখনও পর্যন্ত কারও নামও ঠিক করা হয়নি। এটি প্রমাণ করে, আমেরিকা চীন এবং ভারতকে পররাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একই চোখে দেখে।
ভারত-আমেরিকা শুল্কযুদ্ধ এবং পাকিস্তানের অবস্থান
ভারত ও আমেরিকার মধ্যে চলমান শুল্কযুদ্ধের পরিবেশে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বুধবার ট্রাম্প রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানির কারণে ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং আলোচনার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে, এই পাকিস্তানই ট্রাম্পকে আন্তর্জাতিক শান্তি স্থাপনে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছিল এবং আলোচনার মাধ্যমে ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিতে অনেক ছাড় আদায় করে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ঘটনায় কূটনৈতিক দৌড়ে পাকিস্তান ভারতের থেকে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে।