টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং স্বজনপোষণের অভিযোগে কাঠগড়ায় উঠেছে মালদার পুরাতন মালদা ব্লকের যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত। বৃহস্পতিবার একাধিক ঠিকাদার সংস্থা পঞ্চায়েত প্রধান সজনী পাহাড়িয়া এবং এক নির্মাণ সহায়ক শুভদীপ দাসের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগপত্রের অনুলিপি জেলাশাসক, সদর মহকুমাশাসক এবং জেলা গ্রামোন্নয়ন দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঠিকাদার সংস্থাগুলির অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পঞ্চায়েতের অধীনে ৩৭টি কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। নিয়ম মেনে সব ঠিকাদারই অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ ওঠে যে, কোনো কারণ না দেখিয়েই ২২টি কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে বেশ কয়েকটি সংস্থাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারীরা দাবি করেন, প্রধানের ঘনিষ্ঠ মাত্র এক-দু’জন ঠিকাদারকে অন্যায়ভাবে কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবাদী ঠিকাদারদের মধ্যে মহম্মদ সানোয়ার আলি এবং মহম্মদ ইসমাইল হক বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং নির্মাণ সহায়ক টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বজনপোষণ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে যারা কাজ করে আসছেন, তাদের বাদ দিয়ে যারা কাটমানি দিচ্ছেন, কেবল তারাই কাজ পাচ্ছেন।”
এই অভিযোগের জবাবে পঞ্চায়েত প্রধান সজনী পাহাড়িয়া বলেন, “প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনেই টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। কিছু মানুষ উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দেওয়ার জন্য এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করছেন।” নির্মাণ সহায়ক শুভদীপ দাসও এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন। পুরাতন মালদার বিডিও সেঁজুতি পাল মাইতি অবশ্য এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এই ঘটনায় মালদার রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা উদ্ঘাটনে প্রশাসনের তদন্তের দিকে তাকিয়ে আছেন স্থানীয়রা।