মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের পর এবার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে ঘাটাল এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি শুধুমাত্র বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। শুভেন্দু অভিযোগ করেন যে ত্রাণ বিতরণে দলীয়করণ করা হচ্ছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাচ্ছে না এবং পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে “বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদী” হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বন্যা পরিদর্শনের ভঙ্গিকে কটাক্ষ করে বলেন, “তু খিঁচ মেরি ফটো।” তিনি নিজেকে এবং উপস্থিত সকলকে মেদিনীপুরের মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন যে রাজনৈতিক বিভাজন যাই হোক না কেন, তাঁরা সবাই বিদ্যাসাগরের জেলার লোক।
রাজ্য সরকারের কর্মসংস্থান নীতির সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যে চাকরি নেই, শিল্প নেই। ৮২০০ স্কুল এবং ৬৮৮৮টি শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে।” ঝাড়গ্রামে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে পুলিশ দিয়ে উত্তরীয় পরানোর ঘটনায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এটি বিদ্যাসাগরকে অপমান করা হয়েছে এবং এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, “চুরির মালগুলো ভাইপোর কাছে পৌঁছে গেছে” তাই মুখ্যমন্ত্রী নতুন উত্তরীয় কিনতে পারেননি।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির অভিযোগ এনে শুভেন্দু বলেন, “রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশের মুসলমানদের বাঁচাতে হবে তৃণমূলকে। এরা ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেলে দিদি আর ক্ষমতায় থাকবে না।” ঘাটালের সাংসদ দেবকে “চিটিংবাজ” বলে অভিহিত করে শুভেন্দু তার পার্লামেন্টে কম উপস্থিতির হার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “ভোটের সময় দীপক অধিকারী এসে বলেন, আই লাভ ইউ। ভোটের সময় হাঁটু ছেঁড়া জিন্স পরে মানুষকে টুপি পরাতে দেব ঘাটালে আসেন।” তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী মানস ভুঁইঞাকে “মেদিনীপুরের লজ্জা” বলে উল্লেখ করেন।
শুভেন্দু অধিকারী ১৪, ১৫ এবং ১৬ আগস্ট বিজেপি-র পক্ষ থেকে ঘাটালে বিশেষ ত্রাণ শিবির করার ঘোষণা করেন। তিনি ১৫ আগস্ট জলমগ্ন এলাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলেন।