জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে শিগেকো কাগাওয়াকে দেশের সবচেয়ে প্রবীণ জীবিত ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। ১১৪ বছর বয়সী এই অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার মিয়োকো হিরোয়াসুর মৃত্যুর পর এই সম্মান অর্জন করেছেন।
শিগেকো কাগাওয়ার জীবন অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক। ২০২১ সালে, ১০৯ বছর বয়সে, তিনি টোকিও অলিম্পিক গেমসের মশাল বহনকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, যা তার দীর্ঘ জীবনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একজন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার দীর্ঘ কর্মজীবনের প্রতি তার রোগীদের প্রতি তার উৎসর্গ, এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা তাকে জাপানে দীর্ঘায়ুর প্রতীকে পরিণত করেছে।
স্বাস্থ্যসেবায় আজীবন অঙ্গীকার
কাগাওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে মেডিকেল স্কুল থেকে স্নাতক হন এবং যুদ্ধের সময় ওসাকার একটি হাসপাতালে কাজ করেন। পরে তিনি তাঁর পারিবারিক ক্লিনিকে যোগ দেন এবং ৮৬ বছর বয়সে অবসর নেন। তিনি আজও মানসিকভাবে সক্রিয়। প্রতিদিন একটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস ব্যবহার করে সংবাদপত্র পড়েন এবং মনকে তীক্ষ্ণ রাখেন।
তাঁর দীর্ঘ জীবনের রহস্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, কাগাওয়া বলেন, “যখন আমি ডাক্তার ছিলাম, তখন এখনকার মতো গাড়ি ছিল না। তাই আমি খড়ম পরে রোগীদের দেখতে যেতাম এবং অনেক হাঁটতাম। হয়তো এ কারণেই আমি এত শক্তিশালী এবং সুস্থ আছি।”
একটি সহজ ও স্থির জীবন
পরিবারের সদস্যরা জানান, কাগাওয়ার সুস্বাস্থ্যের পেছনে কোনো অস্বাভাবিক কারণ নেই। তিনি একটি নির্দিষ্ট দৈনিক রুটিন মেনে চলেন, তিনটি নিয়মিত খাবার খান এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেন। ২০২৩ সালে তিনি টিওএস নিউজকে বলেছিলেন, “আমি প্রতিদিন শুধু খেলি। আমার শক্তি আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমি যেখানে ইচ্ছা যাই, যা ইচ্ছা খাই এবং যা ইচ্ছা করি। আমি মুক্ত এবং স্বাধীন।” শিগেকো কাগাওয়ার এই জীবনধারা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।