ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকি একটি শক্তিশালী ভেষজ ফল, যা কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, চুল ও ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এই ছোট ফলটি কাঁচা বা রস করে যেমন খাওয়া যায়, তেমনই চা বানিয়েও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করা যায়। বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমলকির চা অত্যন্ত কার্যকরী।
আমলকি চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: আমলকি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এর নিয়মিত সেবনে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা কমে, ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও হ্রাস পায়।
২. সংক্রমণ প্রতিরোধ: আমলকি চা ফাঙ্গাল ইনফেকশন এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। এটি শরীরের বিষাক্ত উপাদান (toxins) বের করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমলকির চা খুবই উপকারী। এতে থাকা ক্রোমিয়াম নামক উপাদান রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত এই চা পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে।
৪. সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি: সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যথার মতো সাধারণ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমলকির চা খুব কার্যকর। এটি ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রেও স্বস্তি দিতে পারে।
৫. চোখের যত্নে: আমলকির চা চোখের ছানি, বর্ণান্ধতা, ড্রাই আই সিন্ড্রোম এবং দুর্বল দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বর্ষার সময়ে চোখের অ্যালার্জি প্রতিরোধেও এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
আমলকির চা তৈরির সহজ পদ্ধতি
এক বা দুই কাপ জলে এক চামচ আমলকির গুঁড়ো, কিছু কুচি করা আদা এবং কয়েকটা পুদিনা পাতা মিশিয়ে দুই মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে গরম গরম পান করুন।
আমলকি চা ছাড়াও কাঁচা আমলকি লবণ দিয়ে, কিংবা আমলকির গুঁড়ো জল দিয়ে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। তবে যেকোনো নতুন ভেষজ অভ্যাস শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।