রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে নতুন মোড় নিয়েছে। ডিএ কি মৌলিক অধিকার নাকি আইনি অধিকার—এই প্রশ্নেই এখন মামলার ভবিষ্যৎ ঝুলে আছে। শুনানি চলাকালীন রাজ্যের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ডিএ কোনো মৌলিক বা আইনি অধিকার নয়, বরং এটি রাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভরশীল।
রাজ্যের পক্ষে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল এবং শ্যাম দিওয়ান এই বিতর্কের সূচনা করেন। কপিল সিবাল যুক্তি দেন যে, কেন্দ্রীয় হারের ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, কারণ দেশের বিভিন্ন রাজ্য নিজস্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী ডিএ দিয়ে থাকে। তার মতে, ‘স্টেট পাবলিক সার্ভিস সম্পূর্ণভাবে রাজ্যের এক্তিয়ারের বিষয়।’
অন্যদিকে, সরকারি কর্মীদের আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম ডিএকে আইনি অধিকার বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারি কর্মীরা সরকারের নিয়ম মেনে কাজ করতে বাধ্য, তাই ডিএ পাওয়ার অধিকারকে অস্বীকার করা যায় না। তবে বিচারপতি সঞ্জয় কারোল উল্লেখ করেন যে, উভয় পক্ষই এটিকে মৌলিক অধিকার নয় বলে মেনে নিয়েছে, তাই আলোচনার মূল বিষয় এখন আইনি অধিকারের উপর সীমাবদ্ধ।
আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান বলেন, ২০০৮ সালের একটি রায়ে ডিএকে ‘গ্রেস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তিনি আরও যুক্তি দেন যে, রাজ্যের রুল বা রোপা আইনের কোনো ধারায় কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কোনো শর্ত নেই। যদিও রাজ্য নিয়মিত ডিএ দিয়েছে এবং তার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। শুনানি চলাকালীন এই আইনি যুক্তিতর্কই মামলার পরবর্তী গতিপথ নির্ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।