তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় দলের চিফ হুইপের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
পদত্যাগের কারণ নিয়ে জল্পনা:
জানা গেছে, লোকসভায় দলের নেতৃত্ব থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চিফ হুইপের পদ ছেড়েছেন। এই পদত্যাগের পেছনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, দলের অভ্যন্তরে কোনো দ্বন্দ্বের কারণেই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে দলের নেতাদের মতানৈক্য প্রকাশ্যে এসেছিল বলে গুঞ্জন ছিল।
শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ:
শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে চরম আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, “শাসক দল এখন ভাঙনের মুখে। তৃণমূলের নেতারা নিজেদের মধ্যেই লড়ছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ তারই প্রমাণ।” শুভেন্দু কটাক্ষ করে আরও বলেন যে, তৃণমূলের মধ্যে বিভাজন এতটাই তীব্র যে দল এখন নিজেদের সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য:
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী রোহিঙ্গা ইস্যুও টেনে আনেন। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গারা কেউ বাংলায় থাকতে পারবে না।” বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি আরও বলেন যে, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে কোনো অনুপ্রবেশকারীকে ঠাঁই দেওয়া হবে না এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ধরনের মন্তব্য রাজ্যের শাসক দলকে চাপে ফেলতেই করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারীর এই আক্রমণাত্মক মন্তব্য এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ, দুই ঘটনা মিলিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের সূচনা হয়েছে। এই ইস্যুগুলো নিয়ে আগামী দিনে রাজনৈতিক চাপানউতোর আরও বাড়বে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।