DA মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ‘কমিটি’ যুক্তি, আরও ২ মাস সময় চাইল সরকার!

সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত মামলার শুনানি সোমবার ফের অনুষ্ঠিত হলো না। তবে মামলার পরবর্তী শুনানি আগামীকাল, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। আজকের শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান যে, সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশ কীভাবে কার্যকর করা হবে, তা খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে।

উল্লেখ্য, ডিএ-র ২৫ শতাংশ বকেয়া ছয় সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যকে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও রাজ্য সরকার এখনো টাকা মেটাতে পারেনি। বরং, রাজ্যের তরফে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আরও দু’মাস সময় চেয়েছেন।

এদিনের শুনানির শুরুতেই রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা সওয়াল করার জন্য কিছুটা সময় চান। তাঁরা আদালতকে স্পষ্ট করে জানান যে, সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা কার্যকর করতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁরা দু’মাসের সময় প্রার্থনা করেন। আইনজীবীরা আরও জানান, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা খতিয়ে দেখছে কত পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে হবে এবং সেই বিষয়টি কার্যকর করতে ২ মাস সময় লাগবে বলে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি স্পষ্টভাবে জানান যে, কলকাতা হাইকোর্ট বা ট্রাইব্যুনাল কত পরিমাণ অর্থ দিতে হবে, তা ‘কোয়ান্টিফাই’ (পরিমাণ নির্ধারণ) করে দেয়নি। অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “বিপুল পরিমাণ টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে। কিন্তু বকেয়া ডিএ-র অর্থের পরিমাণ কত হবে, তা হাইকোর্ট বা ট্রাইব্যুনাল স্পষ্ট করেনি।” তিনি সওয়াল করেন যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কত পরিমাণ অর্থ দিতে হবে, সেই বিষয়ে কমিটি খতিয়ে দেখছে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের তরফে অর্থের পরিমাণ স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য আবেদন জানান।

প্রাথমিকভাবে রাজ্যের এই অতিরিক্ত সময়ের আবেদনে সায় দিতে গররাজি ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রর বেঞ্চ। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি কারোল বলেন, “এই মামলার রায়ের প্রভাব সারা দেশব্যাপী পড়বে।” পরে বিচারপতিরা জানান, আগামীকাল, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ফের অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, “আদালতের কাজ আইন বাতলে দেওয়া। আদালত তো আর কোয়ান্টিফাই করতে পারবে না। কোয়ান্টিফাই কে করবেন না করবেন, সেটা তো আদালতের বিষয় নয়। আসলে ওরা মামলার শুনানি করতে চাইছিলেন না। যদি আমরা জিতি, ১০০ শতাংশই দিতে হবে।”

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy