সম্প্রতি আগ্রা পুলিশ লাইনে এক বিড়ালকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনা রীতিমতো আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এই মজার ঘটনাটি জন্ম দিয়েছে এক বিচিত্র বিতর্কের, যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ঘটনার সূত্রপাত ৩০শে জুলাই রাতে। পুলিশ লাইনে কর্তব্যরত চারজন হোমগার্ড – পবন পরাশর, নিজাম খান, সত্যপাল এবং পিআরডি জওয়ান এদল সিং – কে যখন জানানো হয় যে তাঁদের ১২ ঘণ্টার নাইট ডিউটি একটি বিড়ালকে পাহারা দেওয়ার জন্য, তখন তাঁরা রীতিমতো হতবাক হয়ে যান। তাঁদের আরও বলা হয় যে এটি স্বয়ং এসপি ট্রাফিকের বিড়াল, তাই বিশেষ যত্ন নিতে হবে এবং কোনোভাবেই যেন এটি কোনো অন্য প্রাণীর আক্রমণের শিকার না হয়। রাতে বিড়ালটিকে দুধ, রুটি ও জল খাওয়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়, এবং কাজে কোনো ভুল হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সাধারণত পুলিশ লাইনে পার্ক করা গাড়ি পাহারার দায়িত্বে থাকা এই হোমগার্ডরা যখন ডিউটি স্পটে পৌঁছান, তখন কনস্টেবল যোগেশ কুমার তাঁদের কাছে বিড়ালটিকে হস্তান্তর করেন এবং তার দেখভালের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
১২ ঘণ্টা ডিউটি শেষ করার পর একজন হোমগার্ড এই পুরো ঘটনাটি তাঁদের অফিশিয়াল গ্রুপে শেয়ার করেন। তিনি লেখেন, “আমাদের দায়িত্ব একটি বিড়াল পাহারা দেওয়ার। যদি বিড়ালের কিছু হয়, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের কি বিড়ালের দেখাশোনা করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে?” তিনি মেসেজের সাথে বিড়ালের একটি ছবিও দেন। মুহূর্তের মধ্যে এই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় মিম তৈরির হিড়িক। নেটিজেনরা ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন – “পুলিশকে কি সত্যিই এখন বিড়ালদের সেবা করার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে?”
यह रही बिल्ली कमिश्नर साहब आपके राज में होमगार्ड बिल्ली की ड्यूटी देंगे एक होमगार्ड ₹1000 रोज लेता है चार होमगार्ड₹4000 रोग राजकीय धन का दुरुपयोग pic.twitter.com/Fw2IQmlQwP
— Tulsi yogi (@Tulsiyogi73) July 31, 2025
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই ট্রাফিক পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। টুইটারে দেওয়া এক প্রাথমিক বিবৃতিতে পুলিশ জানায় যে, বিড়ালটি কোনো কর্তা বা কর্মচারীর নয়, এটি একটি পরিত্যক্ত বিড়াল। কনস্টেবল অনিল নামের এক পুলিশ সদস্য কনস্টেবল যোগেশকে কেবল বিড়ালটির দেখভাল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে কোনো প্রাণী তাকে আক্রমণ না করে। তাই অভিযোগগুলি “মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন” বলে দাবি করা হয়।
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ‘বিড়াল ডিউটি’ নিয়ে আলোচনা ও কৌতুক এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনা দেখিয়ে দিল, কীভাবে একটি আপাতদৃষ্টিতে তুচ্ছ ঘটনাও জনমনে কৌতূহল ও বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।