অর্থনৈতিক তছরুপের একটি বড়সড় মামলায় এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তলবের মুখে পড়লেন রিলায়েন্স গ্রুপের প্রোমোটিং ডিরেক্টর অনিল আম্বানি। শুক্রবারও তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক অফিস ও অন্যান্য স্থানে ইডির তল্লাশি অভিযান চলছিল। এই তল্লাশি চলাকালীনই অনিল আম্বানিকে নয়াদিল্লির ইডি সদর দফতরে আগামী ৫ই আগস্ট হাজিরা দিতে সমন পাঠানো হয়েছে।
প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহেই সিবিআইয়ের দায়ের করা দু’টি এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি তাঁর প্রায় ৫০টি সংস্থায় তল্লাশি চালিয়েছিল। বৃহস্পতিবার দিল্লি এবং মুম্বইয়ের ৩৫টি জায়গায় এই তল্লাশি শুরু হয় এবং প্রায় ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুক্রবার কলকাতা এবং ভুবনেশ্বরের বেশ কয়েকটি দপ্তরেও ইডি তল্লাশি চালায়। এই ব্যাপক অভিযানের মধ্যেই অনিল আম্বানিকে তলব করা হলো।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস এবং এর প্রোমোটিং ডিরেক্টর অনিল ডি আম্বানিকে ‘ফ্রড’ বা প্রতারক হিসাবে উল্লেখ করেছে। গত সপ্তাহে সংসদে কেন্দ্র জানায় যে, দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবার সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনিল আম্বানির সংস্থা আগেই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে এবং সম্পত্তি বিক্রি করে পাওনাদারদের দেনা মেটানোর চেষ্টাও করেছেন। তবে এতেও তাঁর সমস্যা কমছে না।
উল্লেখ্য, এর আগেও অনিল আম্বানি ইডির তলবের মুখে পড়েছেন। ২০২৩ সালে তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এর আগে ২০২০ সালেও ইয়েস ব্যাংকের ঋণ মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল, সেই সময়েও ইডি তাঁকে তলব করে। সেই অভিযোগে পরে ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার ফের নতুন করে ইডির কোপে পড়লেন অনিল আম্বানি, যা তাঁর আর্থিক এবং আইনি সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলল।