দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ভুল ইঞ্জেকশন ও ভুল চিকিৎসার কারণে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে নার্সিংহোমের সামনে মৃতদেহ রেখে তীব্র বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা। খবর পেয়ে মধ্যরাতেই ঘটনাস্থলে আসে বংশীহারি থানার পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং শুক্রবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটে পাঠানো হবে।
মৃত যুবকের নাম সুজিত মাহাতো, বয়স ৪২ বছর। তার পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোমের ভুল ইঞ্জেকশন এবং ভুল চিকিৎসার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত মঙ্গলবার গলায় টিউমার থাকা অবস্থায় সুজিতকে বংশীহারির ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছিল যে, বৃহস্পতিবার বিকেলে সুজিতের অস্ত্রোপচার করা হবে।
সেই মতো বৃহস্পতিবার বিকেলে সুজিতকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সুজিতের পরিবারকে জানায় যে, তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয় এবং তাকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে। তারা সুজিতকে রেফারও করে দেন। পরিবারের অভিযোগ, মালদা নিয়ে যাওয়ার পথেই সুজিতের মৃত্যু হয়।
সুজিতের মৃত্যুর পর তার দেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে ফিরিয়ে আনা হয় সেই নার্সিংহোমের সামনে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে মৃতদেহ রেখেই সুজিতের আত্মীয়-পরিজনরা নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে এই বিক্ষোভ চলে। পরিবারের অভিযোগ, এই পুরো ঘটনায় নার্সিংহোমের কোনো কর্মী বা কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।