কেন্দ্র সরকারের শ্রমিকবিরোধী নীতির প্রতিবাদে এবং একাধিক দাবিতে আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘ভারত বনধ’। ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের সম্মিলিত মঞ্চের ডাকে সকাল থেকেই উত্তাল ভুবনেশ্বর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। পরিবহন, বাজার, ব্যাঙ্ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ডাক পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবরও পাওয়া গেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
দাবি কী?
এই বনধের মূল দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে:
কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী ও শ্রমিকবিরোধী নীতি প্রত্যাহার।
রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগগুলির বেসরকারিকরণ বন্ধ করা।
শ্রমিক ছাঁটাই ও আউটসোর্সিং বন্ধ করে স্থায়ী নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
শ্রমিকদের জন্য ৮ ঘণ্টার কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা।
ভুবনেশ্বরের চিত্র:
ভুবনেশ্বরের মাস্টার ক্যান্টিন এলাকায় সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান – প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তাঁরা। অবরোধের জেরে শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে যান চলাচল প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ থাকে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ব্যাঙ্ক ও ডাক পরিষেবা বন্ধ থাকায় গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ ছিল।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে, যদিও হতাহতের কোনো খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশজুড়ে প্রভাব:
ভুবনেশ্বরের পাশাপাশি শিলিগুড়ি সহ দেশের অন্যান্য প্রান্তেও বনধের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। শিলিগুড়িতেও গাড়ি ও টোটো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর, যার জেরে সেখানেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ট্রেড ইউনিয়নগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্র সরকার তাদের দাবি না মানলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
(দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনটি উপলব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল খবর এবং ব্যবহারকারীর পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করা হয়নি।)