“রাতে বাড়ি ফিরে খাব,” মাকে ফোনে এই কথা বলার কিছুক্ষণ পরই মুম্বাইয়ের অটল সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন ৩২ বছর বয়সী এক তরুণ চিকিৎসক। মায়ের প্রতীক্ষা আর ফুরালো না, কারণ এই ঘটনার দু’দিন পেরিয়ে গেলেও সমুদ্রে তল্লাশি চালিয়েও তার দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্তম্ভিত মুম্বাই।
নিখোঁজ ওই চিকিৎসকের নাম ওঙ্কার কাভিৎকে, যিনি মুম্বাইয়ের সুপরিচিত জে জে হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ছিলেন। গত ৭ জুলাই রাতে হাসপাতাল থেকে নিজের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। বাড়ি ফেরার পথে তিনি মাকে ফোন করে জানান যে তিনি ফিরছেন এবং রাতের খাবার খাবেন। কিন্তু সেই ফোন কলের কিছুক্ষণের মধ্যেই আসে হৃদয়বিদারক খবর। রাত ৯টা ৪৩ মিনিট নাগাদ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে খবর আসে যে, মুম্বাই এবং নবি মুম্বাইয়ের সংযোগকারী অটল সেতু থেকে একজন ব্যক্তি ঝাঁপ দিয়েছেন। পরে জানা যায়, গাড়ি থামিয়ে ঝাঁপ দেওয়া ওই ব্যক্তি ছিলেন চিকিৎসক ওঙ্কার কাভিৎকে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ একটি ফাঁকা গাড়ি এবং একটি আইফোন উদ্ধার করে। গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিশের পক্ষে দ্রুত ওঙ্কার কাভিৎকের পরিচয় জানা সম্ভব হয়। এরপর থেকেই পুলিশ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী যৌথভাবে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি। পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছেও আবেদন জানিয়েছে, যদি ওঙ্কার কাভিৎকে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে তা পুলিশকে জানাতে।
একজন তরুণ ও প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসকের এমন মর্মান্তিক পরিণতি অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনের কোনো চাপ, অবসাদ, নাকি অন্য কোনো কারণ এই চরম সিদ্ধান্তের পেছনে কাজ করেছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই ঘটনা মুম্বাইয়ের চিকিৎসক সমাজেও গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।