পিরিয়ডের অসহ্য কোমর ব্যথা? পেইনকিলার ছাড়াই মুক্তি দেবে এই ঘরোয়া টোটকাগুলি!

প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিন অনেক মেয়ের কাছেই শারীরিক ভোগান্তির নাম। এই সময়ে দেখা দেওয়া বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে কোমর ব্যথা অন্যতম। এই অসহ্য ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ব্যথানাশকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে নিয়মিত পেইনকিলার সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। এই প্রতিবেদনে পিরিয়ডের সময় কোমর ব্যথা দূর করার কিছু সহজ এবং কার্যকর ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হলো, যা বোল্ডস্কাই প্রকাশ করেছে।

আদা: ব্যথানাশক এক প্রাকৃতিক উপহার

আদার ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। পিরিয়ডের সময় কোমর ও পিঠের ব্যথা কমাতে আদা অত্যন্ত কার্যকর। এটি নারী শরীরে ব্যথার কারণ যে হরমোন, তার ক্ষরণ আটকাতে সাহায্য করে। গরম চায়ে অথবা গরম পানিতে আদা থেঁতো করে মিশিয়ে পান করলে দ্রুত উপশম মিলতে পারে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: সুস্থতার চাবিকাঠি

পিরিয়ডের সময় বাইরের খাবার, বিশেষ করে ভাজাপোড়া এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এই ধরনের খাবার পিঠ ও কোমরের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। এর পরিবর্তে ফল এবং শাকসবজিকে বেছে নিন। কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এই সময়ে খুবই উপকারী। এছাড়াও, বেদানা, খেজুরের মতো আয়রনসমৃদ্ধ ফল আপনার খাবারের তালিকায় যোগ করুন, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পর্যাপ্ত পানি ও খনিজ পদার্থযুক্ত খাবার শরীরে শক্তি জোগাবে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

ভেষজ চা: প্রাকৃতিক উপশম

বিভিন্ন ধরনের ভেষজ চা পিরিয়ডের সময়কার ব্যথা কমাতে দারুণ কাজ করে। চায়ে পিপারমিন্ট ফুটিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিয়ে পান করলে পিঠ ও কোমরের ব্যথা অনেকটাই কমে। লেবু চা এবং আদা চাও সমান উপকারী। এই ভেষজ চাগুলো পিরিয়ডের সময়কার ক্লান্তিভাব কমাতেও সাহায্য করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে।

পর্যাপ্ত পানি পান: শরীরকে সচল রাখুন

পিরিয়ডের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। শরীরের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া সচল রাখতে এবং খাবার সঠিকভাবে হজম করতে পানির ভূমিকা অপরিহার্য। যখন পিরিয়ডের কারণে ব্যথা হয়, তখন পানি পানের পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত, কারণ এটি শরীরকে সতেজ রাখে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে, যা ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে অনেক নারীই পেইনকিলারের উপর নির্ভরতা কমিয়ে পিরিয়ডের সময়কার কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে, যদি ব্যথা খুব তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy