এই অস্থির সময়ে এসে কি আপনার রাতের ঘুম উধাও? সারারাত জেগে থাকা আর দিনের বেলায় ক্লান্তিতে চোখ ঢুলুঢুলু – এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। নানারকম দুশ্চিন্তা আর চাপের মধ্যে থাকলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। দিনের পর দিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর খারাপ হবেই, মেজাজ বিগড়ে যাবে এবং ডিপ্রেশন আরও বাড়তে পারে।
ঘুম ঠিকমতো না হলে কোনো কাজেই মনঃসংযোগ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকেই বেরিয়ে আসতে হবে। তার জন্য মেনে চলতে হবে কিছু সহজ নিয়ম।
১. নতুন রুটিন তৈরি করুন:
বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করার ফলে আপনার স্বাভাবিক ঘুমের রুটিন এলোমেলো হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই একটি নতুন রুটিন তৈরি করে ফেলুন। রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস থাকলে তা বদলানোর চেষ্টা করুন। যদি রাতে কাজ করতেই হয়, তাহলে দিনের বেলায় সেই ঘুমের ঘাটতি পুষিয়ে নিন।
২. দিনের ঘুম এড়িয়ে চলুন:
বাড়িতে থাকলে দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম আসা স্বাভাবিক। তবে সচেতনভাবে এই দিনের ঘুম এড়িয়ে চলুন। এতে রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে যাবে। আগের রাতে ভালো ঘুম না হলে, ঘণ্টাখানেকের জন্য ঘুমিয়ে নিতে পারেন, তবে তার বেশি নয়।
৩. মানসিক চাপ কমান:
অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে অনিদ্রায় ভুগলে, প্রথম কাজ হল মানসিক চাপ কমানো। নিজের কাউন্সেলিং করুন। যে বিষয়গুলোর উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই, তা নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করে লাভ নেই। খুব বেশি সমস্যা হলে মনোবিদের পরামর্শ নিন।
৪. কাজের জায়গায় ঘুমের ঘর নয়:
কাজের সময় শোয়ার ঘর এড়িয়ে চলুন। বিছানার বদলে চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করা ভালো। অফিসে যেভাবে কাজ করতেন, সেই নিয়ম মেনে চলুন।
৫. শরীরচর্চা মাস্ট:
বাড়িতে থাকলেও নিজেকে ফিট রাখতে শারীরচর্চা জরুরি। এতে শরীরে যেমন বাড়তি এনার্জি পাওয়া যায়, তেমনই রাতে ঘুমও ভালো হয়।
৬. ক্যাফেইনকে না বলুন:
অতিরিক্ত ক্যাফেইন এমনিতেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই বিকেলের পর আর কফি না খাওয়াই ভালো। দিনে দু’কাপের বেশি কফি খাওয়া ঠিক নয়।
৭. ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন:
তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নিন। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে টিভি বন্ধ করে দিন। পারলে মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকেও দূরে থাকুন। ঘুম না এলেও নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময়ে শুতে যান।
৮. নিজের জন্য সময় বের করুন:
কাজের ফাঁকেও নিজের জন্য অল্প সময় বের করুন। নিজের পছন্দের কাজ করুন। এর পাশাপাশি উপরের নিয়মগুলো মেনে চললে ঘুম আর আপনাকে ছেড়ে পালাবে না।