অধিকাংশ মহিলাই মুখের অতিরিক্ত লোম তুলতে পার্লারে যান। অনেকে বাড়িতেই বিভিন্ন ফেশিয়াল কিট ব্যবহার করেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, মুখের লোম তোলার আগে কিছু টেকনিক আছে। সেইগুলো মেনে না চললে ক্ষতি হতে পারে আপনার ত্বকের। মুখের ত্বক শরীরের সবথেকে সূক্ষ্ম জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। অতএব, তাকে রক্ষা করার দায়িত্বও অনেক বেশি। মুখের লোম তুলতে গিয়ে কমবেশি সবাই কোনো না কোনো ভুল করে বসেন। সেই ভুল যাতে পরবর্তীকালে আপনার রূপের ক্ষতি না করে, সেই টিপস নিয়েই হাজির আমরা।
মুখের লোম তোলার বিভিন্ন পদ্ধতির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিচে দেওয়া হলো:
১. লেজার হেয়ার রিমুভাল: দীর্ঘস্থায়ী সমাধান, কিন্তু চাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
লেজার ট্রিটমেন্টে যে ফলাফল পাওয়া যায়, তা দীর্ঘস্থায়ী এবং ভবিষ্যতে লোমের গ্রোথটাকেও অনেকটা কম করে দেয়। মোটা লোম না ওঠার কারণও হলো এই লেজার রিমুভাল। তার ওপর এই হেয়ার রিমুভালে ত্বকে কোনো ব্যথা হয় না। তবে, কোনো নামী দামী জায়গা থেকে এই লেজার রিমুভাল না করালে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে আপনার ত্বকের। মুখের ব্যাপারে যেহেতু সবাই একটু বেশিই সচেতন হয়ে থাকে, তাই বিশেষজ্ঞের গাইডেন্স ছাড়া এই হেয়ার রিমুভাল পদ্ধতিতে না যাওয়াই ভালো। কারণ এই পদ্ধতি যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ। যাতে পরবর্তীকালে আপনাকে পচতাতে না হয়, তার জন্য ত্বকের ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করেই এই পদ্ধতিতে যাওয়া সঠিক।
২. শেভিং: দ্রুত হলেও চাই সঠিক কৌশল
হেয়ার রিমুভালের ক্ষেত্রে শেভিংয়ের থেকে চটজলদি পদ্ধতি আর কোথাও নেই। তবে এই পদ্ধতির কিছু নেগেটিভ দিকও রয়েছে। যেমন, তাড়াহুড়োতে শেভ করতে গিয়ে কেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শেভিংয়ের পরই সঙ্গে সঙ্গে লোম উঠে যাওয়ারও একটা ব্যাপার রয়েছে। এই পদ্ধতি দীর্ঘস্থায়ী একেবারেই নয়; কয়েকদিনের মধ্যে আবার শেভ করতে হয়। তবে সঠিক টেকনিকে রেজর ব্যবহার করলে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। রেজর দিয়ে শেভ করার পর কোনো ভালো লোশন ব্যবহার করুন, তাতে আপনার ত্বকও পুড়ে যাবে না এবং নরম থাকবে।
৩. থ্রেডিং: সংবেদনশীল ত্বকে বাড়তি সতর্কতা
মুখের লোম তোলার দিক থেকে থ্রেডিংটাই অধিকাংশ মহিলা পছন্দ করেন। তবে এটি বেশ ব্যয়বহুল পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটিও লংলাস্টিং নয়; একবার করানোর দু’দিনের মধ্যে আবার করতে হয়। তবে এক একজন মহিলার এক একরকমের ত্বক হওয়ার কারণে থ্রেডিং পদ্ধতিতে ত্বকের খানিক ক্ষতি হতে পারে। কারও খুব বেশি সেনসিটিভ ত্বক হলে খুব সহজেই খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। ভুল পদ্ধতিতে থ্রেড করলে মুখের বিভিন্ন জায়গায় কেটে যেতে পারে। তাই থ্রেডিংয়ের সময় দক্ষ হাতে করানো উচিত।
৪. ওয়্যাক্সিং: ব্যথা ও সম্ভাব্য লোম বৃদ্ধির ঝুঁকি
ওয়্যাক্সিংয়ের একটি অভিনব দিক হলো এটি ত্বকের ভেতরের লেয়ার থেকেও মুখের লোম তুলে আনে। অনেকদিন পর ওয়্যাক্সিং করালেও কোনো অসুবিধা হয় না। তবে ওয়্যাক্সিং ত্বকে বেশ ব্যথা করে, মুখের লোম তোলার সময় আরও বেশি ব্যথা করে। ত্বকের অন্যান্য জায়গা যেখানে অতিরিক্ত লোম বেরোয় না, ওয়্যাক্সিংয়ের কারণে সেখানেও লোম বেরিয়ে যেতে পারে।