ভার্জিনিটি বা কুমারীত্ব নিয়ে কথা বলা আমাদের সমাজে দীর্ঘকাল ধরেই একটি স্পর্শকাতর বিষয়। তবে, সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ এখন নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে আরও খোলাখুলি আলোচনা করতে শুরু করেছে। কুমারীত্ব হারানোর পর নারীর দেহে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে, এই বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। এই প্রতিবেদনে নারীর কুমারীত্ব হারানোর পর শারীরিক ও মানসিক কিছু পরিবর্তন তুলে ধরা হলো।
যৌন মিলনের পর নারীর শারীরিক পরিবর্তন
প্রথম যৌন মিলনের পর নারীর দেহে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়:
যোনির পরিবর্তন: প্রথম যৌন মিলনের পর যোনিতে (ভ্যাজাইনা) কিছু পরিবর্তন আসে। এর ইলাস্টিসিটিতে পরিবর্তন টের পাওয়া যায়। নিয়মিত মিলনের পর যোনি নিজেই লুব্রিকেটেড হতে শুরু করে।
ক্লিটোরাস ও ইউটেরাসের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি: ক্লিটোরাস এবং ইউটেরাস (জরায়ু) বুঝতে শেখে কখন সংকুচিত ও প্রসারিত হতে হবে। যৌন উত্তেজনা জাগলে ক্লিটোরাস সাড়া দিতে শুরু করে। নিয়মিত যৌন মিলন হতে শুরু করলেই এই পরিবর্তনগুলি টের পাওয়া যায়, অন্যথায় নারীর গোপনাঙ্গ ‘ইন-অ্যাকটিভ’ই থেকে যায়।
স্তনের দৃঢ়তা ও সংবেদনশীলতা: কুমারীত্ব হারানোর পর নারীর শরীর যখন নিয়মিত মিলনের আস্বাদ পেতে শুরু করে, তখন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতেও কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন, মিলনের সময় ও খানিক পর স্তন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দৃঢ় হতে শুরু করে, কারণ এই সময় কোষগুলিতে অধিক রক্ত সঞ্চালন হয়। স্তনবৃন্তগুলিও একই কারণে দৃঢ় ও অধিক সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এই সময় স্তনবৃন্তের আশেপাশের অংশে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়।
হরমোনাল ও মানসিক পরিবর্তন
যৌন মিলনের ফলে কিছু হরমোনাল ও মানসিক পরিবর্তনও আসে:
‘হ্যাপি’ হরমোনের প্রভাব: যৌন মিলনের ফলে শরীরে ‘হ্যাপি’ হরমোন বা সেরোটোনিন-এর মাত্রা বাড়ে। এর ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং মহিলারা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হাসিখুশি হয়ে ওঠেন।
ঋতুচক্রে পরিবর্তন: হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে মহিলাদের ঋতুচক্রে খানিকটা দেরি হতে পারে। পিরিয়ড একটু দেরিতে হয় বলে অনেকেই এই সময়টা প্রেগনেন্সির আশঙ্কায় ভোগেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই আশঙ্কা অমূলক।
আবেগপ্রবণতা বৃদ্ধি: ভার্জিনিটি হারানোর পর মহিলারা কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তাঁদের সুখ বা দুঃখের বহিঃপ্রকাশ একটু চড়া হয়ে ওঠে।
উপসংহার:
কুমারীত্ব হারানো একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং এর সাথে শারীরিক ও মানসিক কিছু পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। এই পরিবর্তনগুলো নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে বরং সচেতন থাকা উচিত। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিলে এই বিষয়ে আরও সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পাওয়া সম্ভব।