আম, আঙুর কিংবা তরমুজের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে অনেক সময়ই ফিকে হয়ে যায় ফুটির রং। তবে জানেন কি, গরমকালের অন্যান্য ফল যতই খান না কেন, তীব্র গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে ফুটি খাওয়া অত্যাবশ্যক? রসে পরিপূর্ণ এই ফুটির স্বাদকেও হার মানায় এর অসাধারণ গুণাগুণ। প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ লাভনিত বাত্রা সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টের মাধ্যমে ফুটির এই সকল উপকারিতা তুলে ধরেছেন। আসুন, দেখে নেওয়া যাক শরীরের জন্য কেন এত উপকারী এই ফুটি-
ফুটি রাখে আপনার হার্টকে সতেজ: ফুটিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বিদ্যমান, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়াও, এতে অ্যাডেনোসিন নামক একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায় এবং আপনার হার্ট থাকে সুস্থ।
চোখের জন্য অমৃত: মাস্ক মেলন বা ফুটিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন। এই দুটি উপাদানই চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দারুণ উপকারী। এটি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং ছানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না: ফুটির নির্যাস, যা অক্সিকিন নামে পরিচিত, কিডনির বিভিন্ন সমস্যা ও কিডনি স্টোনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। পাশাপাশি, এই অক্সিকিনে প্রচুর জল থাকায় এটি কিডনি পরিষ্কার রাখতে ও শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা কমায়: ফুটিতে অ্যান্টি-কোয়াগুলেন্ট বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। তাই ঋতুস্রাবের সময় ফুটি খেলে রক্ত জমাট বাঁধা এবং পেশির সংকোচনজনিত ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে।
দাঁতের ব্যথা নিরাময়ে সহায়ক: দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও ফুটি অত্যন্ত কার্যকরী। আপনি চাইলে বাড়িতেই ফুটির মাউথওয়াশ তৈরি করতে পারেন। কয়েকটি ফুটির খোসা একটি পাত্রে নিয়ে তাতে জল মিশিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। জল ফুটে গেলে মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এই দ্রবণ দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধুয়ে নিন। বাড়তি দ্রবণ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন।
শুধু এখানেই শেষ নয়! চুল লম্বা করতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বককে সুন্দর রাখতেও ফুটি বিশেষভাবে সহায়ক।
এতসব উপকারী গুণাগুণ থাকার পরেও যদি আপনি প্রচণ্ড গরমে এই ফলটি না খান, তবে আপনার শরীর বঞ্চিত হবে এই সকল স্বাস্থ্যকর উপকারিতা থেকে। তাই, এই গরমে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় ফুটিকে যোগ করুন এবং সুস্থ থাকুন!