বাস্তুশাস্ত্রের মতোই ফেং শুই চিনের একটি প্রাচীন জ্ঞান শাস্ত্র, যা ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করার উপর জোর দেয়। আমাদের আবাসস্থলকে শান্ত ও ইতিবাচক করে তোলার জন্য আমরা নানা ধরনের পদক্ষেপ নিই। এই সমাধানগুলির মধ্যে ফেং শুই অন্যতম, যা আমাদের চারপাশের শক্তির ভারসাম্য রক্ষার একটি চিরায়ত চিনা তত্ত্ব।
ফেং শুই মূলত চিনা ধর্মীয় গ্রন্থ ‘তাইও’-এর উপর ভিত্তি করে গঠিত। এই ফেং শুইয়ের নিয়ম মেনে অনেকেই তাদের বাড়িতে লাফিং বুদ্ধ, উইন্ড চাইম, ঘুড়ি, কচ্ছপ, মুদ্রা ইত্যাদি স্থাপন করেন। তবে জানেন কি, ফেং শুই অনুসারে ঘরে প্রবেশের সময় জুতো খুলে ফেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! কেন ঘরের ভেতরে জুতো পরা উচিত নয়, তা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্বাস করা হয়, জুতো আমাদের ঘরের বাইরে থেকে নেতিবাচক শক্তি বহন করে আনতে পারে। দিনের ব্যস্ততায় রাস্তায় চলাচলের সময় জুতোর সাথে ধুলো, ময়লা এবং বিভিন্ন প্রকার নেতিবাচক শক্তি লেগে থাকে। যখন আমরা জুতো পরে ঘরে প্রবেশ করি, তখন এই সমস্ত নেতিবাচক শক্তি আমাদের আবাসে প্রবেশ করে এবং আমাদের মনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি পেতে পারে।
অতএব, বাড়ির পরিবেশকে শান্ত ও ইতিবাচক রাখতে হলে অবশ্যই বাইরের জগতের নেতিবাচক শক্তিকে ঘরে প্রবেশে বাধা দেওয়া উচিত। এছাড়াও, জুতো যেহেতু বাইরে থেকে ময়লা বহন করে আনতে পারে, তাই বাইরে জুতো খুলে রাখলে আমাদের ঘর পরিষ্কার ও সুন্দর থাকে। ফেং শুই বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরের ভেতরে জুতো পরলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগও বাড়ে। তাই ঘরে ঢোকার আগে জুতো খুলে ফেলা উচিত।
ফেং শুই অনুসারে জুতো রাখার সঠিক স্থান কোনটি? জুতো সর্বদা ঘরের দরজার বাইরে অথবা একটি নির্দিষ্ট জুতোর র্যাকে রাখা উচিত। শোবার ঘরে কখনোই জুতো রাখা উচিত নয়, কারণ এটি ঘুমের জায়গার উপর নেতিবাচক শক্তির প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও রান্নাঘরকেও একটি পবিত্র স্থান হিসেবে গণ্য করা হয়, তাই এখানেও জুতো রাখা উচিত নয়। সঠিক স্থানে জুতো রাখলে ঘরের ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে এবং নেতিবাচক শক্তি দূরে থাকে।