জীবনে প্রকৃত শান্তি লাভ করতে হলে মনের ভেতরের আবর্জনা সরিয়ে ফেলতে হবে। কারণ যতক্ষণ মনে কাম, ক্রোধ ও লোভের মতো রিপু বাসা বেঁধে থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত জীবনে কেবলই দুর্ভোগ নেমে আসে।
মনের যেমন বন্ধন রয়েছে, তেমনই রয়েছে মুক্তির পথ। এই সংসারে প্রতিটি মানুষ দুটি পথের মধ্যে একটি বেছে নিতে পারে – হয় ঈশ্বরের প্রতি গভীর ভালোবাসায় নিজের চেতনাকে মুক্ত করবে, নয়তো পার্থিব সংসারের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকবে।
মনের ভেদাভেদ দূর করতে শিখলেই যে কোনও কাজের মধ্যে ভক্তিরসের সন্ধান পাওয়া যায়। ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান, তবে মানুষের মধ্যেই তাঁর প্রকাশ সবথেকে বেশি। তাই মানুষকে ঈশ্বরের মতোই সেবা করুন এবং মনের ভেদাভেদকে দূরে সরিয়ে রাখুন।
জীবনের একমাত্র লক্ষ্য অর্থ উপার্জন করা নয়। জীবনের আসল উদ্দেশ্য হল পরমেশ্বরের সেবা করা এবং মনের শান্তি লাভ করা। যে ব্যক্তি নিঃস্বার্থভাবে অন্যের জন্য কাজ করেন, ঈশ্বর সর্বদা তাঁর মঙ্গল করেন।
‘আমার ধর্ম শ্রেষ্ঠ’, ‘তোমার ধর্ম খারাপ’ – এই ধরনের লড়াই করে কোনো লাভ নেই। কারণ শেষ পর্যন্ত সকলের গন্তব্য সেই এক পরমেশ্বরের কাছেই।
একটা কথা সবসময় মনে রাখতে হবে, জীবনে অনেকেই গুরু হতে চান, কিন্তু প্রকৃত শিষ্য হতে পারে ক’জন? যদি শিষ্যত্ব গ্রহণ না করা যায়, তবে জগতের নিয়ম-কানুন শেখা যায় না।
জীবনে আপনি যতই সুন্দর বা কুৎসিত হন না কেন, যদি আপনার অন্তরে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি না থাকে, তবে সবকিছুই অর্থহীন।
‘যত্র জীব তত্র শিব’ – অর্থাৎ প্রতিটি জীবের মধ্যেই ভগবানের বাস। তাই জীব সেবা করাই হল শিব সেবা।
যদি ঈশ্বরকে পেতে চান, তবে তাঁকে প্রেম ও ভক্তির বাঁধনে বাঁধতে শিখুন। তবেই তাঁর সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব।