নবরাত্রির দ্বিতীয় দিন: মা ব্রহ্মচারিণীর পূজার মাহাত্ম্য ও বিধি

নবরাত্রি হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। প্রতি বছর এই উৎসবের নয় দিন ধরে দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপের আরাধনা করা হয়। ২০২৫ সালের নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে পূজিত হন মা ব্রহ্মচারিণী। তিনি জ্ঞান, তপস্যা এবং সংযমের প্রতীক হিসেবে পূজিত হন। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, তাঁর উপাসনার মাধ্যমে ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস ও সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

মা ব্রহ্মচারিণীর মাহাত্ম্য
মা ব্রহ্মচারিণী সাদা পোশাক পরিহিতা, হাতে থাকে জপমালা ও কমণ্ডলু। তিনি তপস্যা, ধ্যান এবং সংযমের প্রতীক। পুরাণ অনুযায়ী, শিবকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য কঠোর তপস্যা করেছিলেন মা ব্রহ্মচারিণী। তাই তাঁর উপাসনা করলে ধৈর্য, আত্মসংযম ও আত্মবিশ্বাস লাভ হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও সাধকদের জন্য এই পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

মা ব্রহ্মচারিণীর পূজা বিধি
পূজার আগে সকালে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা উচিত।

ঘরের মন্দিরে বা নির্দিষ্ট পবিত্র স্থানে মা ব্রহ্মচারিণীর প্রতিমা বা ছবি স্থাপন করতে হয়।

পূজার অংশ হিসেবে কলস স্থাপন করা হয়, যেখানে জল, আমপাতা, নারকেল এবং পঞ্চধান্য রাখা হয়।

ঘি বা তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীর আরাধনা করা হয়।

মা ব্রহ্মচারিণীকে চাল, ফুল, রোলি, চন্দন, কুমকুম, সুগন্ধি ধূপ ও সাদা ফুল নিবেদন করা হয়।

দেবীকে দুধ, চিনি, পঞ্চামৃত ও সাদা মিষ্টি নিবেদন করা হয়, যা পরে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়।

পূজার পর ভক্তিভরে মা ব্রহ্মচারিণীর আরতি করা হয়।

উপবাস ও ব্রত বিধি
এই দিনে উপবাস পালনকারীদের ব্রহ্মচর্য মেনে চলতে হয়। ফলমূল ও সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করা উচিত, যেখানে রসুন, পেঁয়াজ ও আমিষ খাবার পরিহার করতে হয়। দিনভর মায়ের ধ্যান ও মন্ত্র জপ করা হয়, যাতে মনোসংযোগ বাড়ে ও নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর হয়।

মা ব্রহ্মচারিণীর কৃপা লাভের উপকারিতা
আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য বৃদ্ধি পায়।

মানসিক শান্তি ও ইতিবাচকতা অর্জিত হয়।

পড়াশোনা ও কর্মজীবনে সাফল্য লাভ হয়।

পারিবারিক সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।

নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে মা ব্রহ্মচারিণীর আরাধনা করলে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংযম, ধৈর্য ও সাফল্য লাভ করা সম্ভব। তাই শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর পূজা করা উচিত, যাতে তিনি ভক্তদের উপর কৃপা বর্ষণ করেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy