অনেকেই শখ করে কুকুর, বিড়াল, পাখি, খরগোশ, কবুতর ইত্যাদি পুষে থাকেন। এসব পোষ্য প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন অনেকেই। তবে বাড়িতে খরগোশ পুষতে মন চাইলেও, জায়গার স্বল্পতার কারণে অনেকের পক্ষে তা হয়ে ওঠে না।
তাছাড়া ছোট্ট নরম তুলতুলে খরগোশ বাড়িতে পোষা বেশ ঝামেলা এমনটাও অনেকের ধারণা। তাই যথাযথ জ্ঞানের অভাবে অনেকেই সঠিকভাবে খরগোশ পালন করতে পারে না। তবে আপনি যদি সত্যি খরগোশপ্রেমী হয়ে থাকেন এবং বাড়িতে এই নিরীহ প্রাণীটি পুষতে চান, তবে মাথায় রাখুন কিছু জরুরি বিষয়। যা আপনাকে আপনার ছোট ফ্ল্যাটের মধ্যেও ঝামেলা ছাড়াই ভালোভাবে খরগোশ পুষতে সহায়তা করবে। তাছাড়া শখের কারণে কেনা একটি খরগোশ একটু আদর-যত্নে আপনার এবং আপনার সন্তানের বন্ধুও হতে পারবে। চলুন জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে জরুরি কিছু টিপস-
কোথায় রাখবেন
বাড়ির ছাদ বা বারান্দায় খরগোশ পোষা যায়। তিন দিকে কাঠের বেড়া বা লোহার পাত দিয়ে বাক্স বানিয়ে নেন। সামনের দিকে জালের নেট দিয়ে দরজা বানিয়ে নেবেন। এতে সামনের দিক দিয়ে আলো-বাতাস ঢোকে ও ময়লা পরিষ্কার করতে সহজ হয়। পূর্ণবয়স্ক পুরুষ খরগোশের জন্য ৪ বর্গফুট স্থান দরকার, শিশু খরগোশের জন্য ১.৫ বর্গফুট যথেষ্ট। প্রতিদিন খরগোশের থাকার ঘর বা বাক্স পরিষ্কার করবেন।
যা খেতে দেবেন, যা দেবেন না
>> খরগোশকে দিনে ও রাতে কয়েকবার খাবার দিতে হয়। তাদের খাবারের মধ্যে ঘাস অন্যতম। ঘাসের সঙ্গে ভাত ও ধানের কুড়া মিশিয়ে দিতে পারেন।
>> এছাড়াও সবুজ শাক-সবজি, পালং শাক, গাজর, মুলা, শশা, গম, ভুট্টা দিতে হবে। ঘাস ও শাক সবসময় শুকনা অবস্থায় দিতে হবে।
>> আপনার খরগোশকে রঙিন খাবার, বাদাম, বীজ এবং এতে মিশ্রিত ফল দেবেন না। কারণ এই খাবারগুলোতে প্রায়শই চিনি এবং শর্করা বেশি থাকে।
পরিষ্কার রাখা
>> মনে রাখবেন খরগোশ নিরীহ ও তৃণভূজী প্রাণী। এরা সাধারণত ৯ থেকে ১২ বছর বাঁচে। পিঁপড়া ,কুকুর ও বিড়াল থেকে খরগোশকে সর্বদা দূরে রাখবেন।
>> পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেবেন। স্নান করানোর সময় অবশ্যই শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। আপনি যদি আপনার খরগোশকে স্নান না করান তাহলে খরগোশের শরীরে উকুন হবে।