কম-বেশি আমরা সবাই ত্বক নিয়ে সচেতন। দেখা যায়, মুখের ত্বকের যত্নে নানা কিছু করলেও ঘাড় ও গলার যত্নে কেউ তেমন সচেতন নয়। তাই মুখের ত্বক ফর্সা হলেও, ঘাড় ও গলায় কালো দাগ দেখা যায়। আর এই কালো দাগ মুখের রঙের উজ্জ্বলতাকেও ম্লান করে দেয়। এ সমস্যা নিয়ে অনেকেই বিব্রতবোধ করেন।
এর পেছনের কারণ হতে পারে কেমিকেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার, সানট্যান এমনকি ডায়াবেটিসও! অনেকেই এই সমস্যা সমাধানে বাজারচলতি বেশ কিছু প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। তবে তা কালচে দাগ আরও গাঢ় করে দিতে পারে। কারণ এসব প্রসাধনীতে বিভিন্ন কেমিক্যাল মেশানো থাকে। তাই প্রাকৃতিক উপায়েই রান্নাঘরের কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করেই ঘাড় ও গলার কালচে দাগ দূর করতে পারেন।
চলুন তবে সে উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক-
টকদই
দইতে প্রাকৃতিক এনজাইম আছে, যা ত্বককে হালকা করতে সহায়তা করে। দুই টেবিল চামচ টকদই ঘাড়ে লাগান। পনের মিনিটের জন্য রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আলু
প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য আছে আলুতে। যা ত্বক ও ঘাড়ের কালো দাগ হালকা করে। একটি আলু কুচি করে রস বের করে গলায় ও ঘাড়ে ব্যবহার করে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপরে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেল
স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি অ্যালোভেরা ত্বকের যত্নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যালোভেরায় উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন উপাদানসমূহ ত্বকে মেলানিন উৎপাদন সীমাবদ্ধ করে কালচে দাগ কমায়।
এজন্য একটি অ্যালোভেরার পাতা কেটে জেল বের করে নিন। তারপর আপনার ঘাড়ে জেল লাগিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য স্ক্রাব করুন। আধা ঘণ্টা এভাবে রেখে জল দিয়ে ঘাড় ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে গলা ও ঘাড়ের কালচে দাগ দূর হবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
এটি ত্বকে জমা হওয়া মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য দুই টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে একটি তুলার বল ডুবিয়ে ঘাড়ে ব্যবহার করুন। কয়েক মিনিট রেখে দিন এবং তারপরে ধুয়ে ফেলুন।
বাদাম তেল
আমন্ড অয়েল ত্বকের যত্নে দারুণ কার্যকরী। বাদামের তেলে ভিটামিন ই এবং ব্লিচিং এজেন্ট আছে। উভয় উপাদানই একসঙ্গে ত্বকের রং উজ্জ্বল করে। কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল কয়েক মিনিটের জন্য ঘাড়ে ম্যাসেজ করুন। নিয়মিত ব্যবহারে উপকার মিলবে।