নাম শুনলেই যেনো জিভে জল চলে আসছে। অনেকে আবার পরোটা বা রুটিতে মাখিয়ে ঘি খান।ঘি এর উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও ঘিয়ের উপকারিতার কথা বিস্তারে বলা আছে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ঘি রাখলে শরীর যেমন ভালো থাকবে তেমনি চেহারা হয়ে উঠবে ঝলমলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতার কথা।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে: যেহেতু ঘি প্রয়োজনীয় ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন ডি, কে, ই,এ সমৃদ্ধ তাই এই উপাদানগুলো প্রতিরোধ-ক্ষমতা সহ আমাদের দেহের নানাবিধ কার্য সম্পাদন করে। ঘি শরীরকে অন্যান্য খাবার থেকে চর্বিযুক্ত দ্রবণীয় খনিজ এবং ভিটামিন শোষণে সহায়তা করে এবং আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। ঘি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ভাইরাস, ফ্লু, কাশি, সর্দি প্রভৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করে।
হজম শক্তি বাড়ায়: ঘি একটি শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড যা অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো ডায়েটার ফাইবার বাটরেটকে ভেঙে ফেললে তৈরি হয়। কোলন কোষগুলো তাদের শক্তির উৎস হিসাবে এই অ্যাসিড ব্যবহার করে। এটি অন্ত্রের প্রাচীরগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য দুর্দান্ত। অন্ত্রের ব্যাধি যেমন ক্রোনজ ডিজিজে কাজে দেয়।
স্মৃতি শক্তি বাড়ায়: ঘিয়ের স্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড ফ্যাটগুলো চিন্তাশক্তি বাড়িয়ে তোলে। এটি কোষ এবং টিস্যুকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। খালি পেটে সকালে ঘি খাওয়ার ফলে কোষের পুনরুজ্জীবনের প্রক্রিয়া উন্নত হয় যা আমাদের দেহের নিরাময় প্রক্রিয়াটিকে বাড়িয়ে তোলে।
ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে: ঘিয়ের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বক ভালো রাখে, ত্বকের জ্বালা কম করে, পিগমেন্টেশন কম করে, বার্ধক্যকে বিলম্বিত করে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে যা ত্বক এবং চুলে ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আসে।
এনার্জি যোগায় ও ওজন কমায়: ঘিতে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে শক্তি যোগায়। এছাড়াও, ঘিতে আছে স্বাস্থ্যকর ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়াও হার্ট ভাল রাখতে, দৃষ্টি শক্তি উজ্জ্বল রাখতে, ক্যানসার প্রতিরোধে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে এবং সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ঘিয়ের অবদান অতুলনীয়।