সুস্থ থাকা মানে শুধুমাত্র শারীরিক সুস্থতা নয়, মানসিক সুস্থতাকেও বোঝায়। কারণ মন সুস্থ না থাকলে শরীরও ভালো থাকে না। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। নইলে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা কখনোই সম্ভব নয়।
মানসিক স্বাস্থ্যের অবহেলা করলে যে পরিমাণ মানসিক চাপ তৈরি হয় তাতে একাধিক গুরুতর রোগ দেখা দিতে পারে। অনেক সময়ে আপাত ভাবে মানসিক চাপ থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করা যায় না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীর একাধিক সূক্ষ্ম সংকেত দেয় যা সঠিক সময়ে চিহ্নিত করা গেলে দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব হতে পারে।
এই ধরনের সমস্যাগুলো অবহেলা করলে ভবিষ্যতে গুরুতর সমস্যা তৈরি হওয়াও অসম্ভব নয়। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক লুকিয়ে থাকা মানসিক চাপের পাঁচটি লক্ষণ সম্পর্কে-
অব্যক্ত ব্যথা-বেদনা
স্ট্রেস বা চাপ পেশির টান সৃষ্টি করতে পারে, যা থেকে ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠে ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের ব্যথা বেদনা লুকিয়ে থাকা মানসিক চাপের লক্ষণ। প্রতিনিয়ত স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ব্যথা এবং যন্ত্রণা অনুভব করলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘুমের সমস্যা
অতিরিক্ত মানসিক চাপ ঘুমিয়ে পড়া এবং ঘুমিয়ে থাকা কঠিন করে তুলতে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে অনিদ্রার সমস্যা। অনিদ্রা ও মানসিক চাপ কার্যত একটি চক্রাকার সম্পর্কের মতো। একটি অপরটিকে ডেকে আনে। কাজেই মানসিক চাপের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে তা উপেক্ষা না করাই ভালো।
ঘন ঘন মাথাব্যথা
মানসিক চাপ থেকে যে ধরনের মাথা ব্যথা হয় তাকে টেনশন হেডেক বলে। পাশাপাশি বেড়ে যেতে পারে মাইগ্রেনও। মানসিক চাপের মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলে ঘন ঘন মাথাব্যথা হতে পারে।
হজম সংক্রান্ত সমস্যা
পাচনতন্ত্র বিভিন্ন স্নায়ু দ্বারা মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকে। ফলে মস্তিষ্কের কোনো সমস্যা তৈরি হলে তার প্রভাব পাচনতন্ত্রকেও সমস্যায় ফেলতে পারে। দেখা দিতে পারে বদহজম, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
ক্লান্তি
কখনো কখনো মানসিক চাপ বেশি থাকলে শরীর প্রতিনিয়ত অস্থির ও সন্ত্রস্ত থাকে। দীর্ঘক্ষণ এই অবস্থা বজায় থাকলে ক্লান্তি দেখা দেয়। পাশাপাশি মানসিক চাপ বেশি থাকলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এই হরমোনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে শরীর পরিশ্রান্ত হয়ে যায়।