লালকেল্লার কাছে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার নাম জড়াল পশ্চিমবঙ্গের। এই ঘটনায় এবার নাম উঠে এল নদিয়ার পলাশীপাড়ার বাসিন্দা সাবির আহমেদের। যদিও বর্তমানে সে বেআইনিভাবে মাদক পাচারের অভিযোগে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—জেলবন্দি থাকা অবস্থায় কীভাবে দেশবিরোধী ও জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত সাবির?
সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপেই চলত ষড়যন্ত্র
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই একাধিক এজেন্সি তদন্ত শুরু করেছে এবং তাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গিযোগ রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, মূল অভিযুক্ত শাহীনকে গ্রেফতারের পরই এই জঙ্গিযোগের কথা জানা গেছে। মূলত, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের মাধ্যমেই তারা দেশবিরোধী কাজকর্ম চালাত। আর প্রতিটি গ্রুপের ‘মেন্টর’ হিসেবে কাজ করত সেই শাহীন, যার সক্রিয় সদস্য ছিল নদীয়ার জেলবন্দি সাবির আহমেদ।
তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে, এই সাবির আহমেদ বিভিন্ন সময় ভারতবিরোধী প্রচার এবং দেশবিরোধী কাজের উৎসাহ প্রদান করতেও সাহায্য করত। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে জেলবন্দিদের দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
গোয়েন্দাদের প্রশ্ন: জেলে মোবাইল ব্যবহার কীভাবে?
গোয়েন্দাদের মধ্যেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে, জেলবন্দি থাকা অবস্থায় কীভাবে তারা মোবাইল ব্যবহার করতে পেরেছে এবং নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে পেরেছে।
এই ঘটনার পর কিছু সূত্র দাবি করেছে যে, সাবির আহমেদ জেলবন্দি অবস্থায় দেশের বিরুদ্ধে কার্যকলাপ চালাতেন এবং দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গেও তাঁর যোগ থাকতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল সাবিরের বিষয়ে খোঁজ নিতে নদিয়ার পলাশীপাড়ায় যেতে পারে বলেও জানা গেছে।
এদিকে গত ১২ নভেম্বর রাতে, এসটিএফ পলাশীপাড়া থানার সহায়তায় সাবিরের ভাই ফাইজাল আহমেদকে বড় নলদহ এলাকা থেকে আটক করে। যদিও কৃষ্ণনগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) জানিয়েছেন, “কিছুদিন আগে এসটিএফ সাবিরের ভাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তবে বিস্ফোরণের বিষয়ে সাবিরের যোগ থাকার বিষয়ে কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই।” সাবিরের পরিবারও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।