জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্রিয় একটি বড়সড় জঙ্গি মডিউলের খোঁজ পেয়েছে। এই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, ধৃত এই চক্রটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ (এজিইউএইচ)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল।
একাধিক রাজ্যে তল্লাশি, উদ্ধার বিপুল বিস্ফোরক
তদন্তের অংশ হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ শ্রীনগর, অনন্তনাগ, গান্ডারবাল এবং শোপিয়ানসহ একাধিক স্থানে তল্লাশি চালায়। একইসঙ্গে হরিয়ানা পুলিশের সহায়তায় ফরিদাবাদে এবং উত্তর প্রদেশ পুলিশের সহযোগিতায় সাহারানপুরে অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত নথি, ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং আইইডি তৈরির উপকরণ উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে ছাত্র এবং বিদেশী হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের জড়িত থাকার বিষয়টিও সামনে এসেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযানে মোট ২৯০০ কেজি আইইডি তৈরির উপকরণ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিস্ফোরক, রাসায়নিক, ইলেকট্রনিক সার্কিট, ব্যাটারি, তার, রিমোট কন্ট্রোল এবং টাইমার। এছাড়াও, কার্তুজ-সহ একটি চাইনিজ স্টার পিস্তল, কার্তুজ-সহ একটি বেরেটা পিস্তল, কার্তুজ-সহ একটি AK-56 রাইফেল এবং কার্তুজ-সহ একটি একে ক্রিনকভ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে।
ডাক্তার, ইমাম-সহ ৭ অভিযুক্ত গ্রেফতার
পুলিশের জালে ধরা পড়া সাত অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা:
- ডাঃ মুজাম্মিল আহমদ গানাই (মুসাইব), পুলওয়ামা
- ডাঃ আদিল, কুলগামের ওয়ানপোরা
- আরিফ নিসার দার (সাহিল), শ্রীনগরের নওগাম
- ইয়াসির-উল-আশরাফ, শ্রীনগরের নওগাম
- মাকসুদ আহমেদ দার (শাহিদ), শ্রীনগরের নওগাম
- মৌলবি ইরফান আহমেদ (মসজিদের ইমাম), শোপিয়ান
- জমির আহমেদ আহাঙ্গার (মুতলাশা), গান্ডারবালের ওয়াকুরা
হরিয়ানায় উদ্ধার ২৫৬৩ কেজি বিস্ফোরক
ফরিদাবাদ পুলিশ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সোমবার সকালে ফতেহপুর তাগা গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৫৬৩ কেজি বিস্ফোরক আটক করেছে। এই বাড়িটি ডঃ মুজাম্মিল একজন ধর্মগুরুর কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলেন। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় ধৌজে অভিযান চালিয়ে ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ আরও জানিয়েছে যে এই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত তহবিলের উৎস সম্পর্কে তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে। সমস্ত আর্থিক সংযোগ এবং বহিরাগত সহায়তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।