বীরভূমের বোলপুরে চোরাই সোনার গয়না পাচারের একটি সক্রিয় চক্রের হদিশ মিলেছে। এই চক্রের সঙ্গে বোলপুর শহরের একাধিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী যুক্ত আছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালেন বীরভূমের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (বোলপুর) রানা মুখোপাধ্যায়।
১২টি চুরির ৯টিতেই সাফল্য
অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বোলপুর, শান্তিনিকেতন ও ইলামবাজার থানার পুলিশ গত দেড় মাসে হওয়া ১২টি চুরির মামলার সাফল্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। ১২টির মধ্যে ৯টি মামলায় সাফল্য পেয়েছে বীরভূম পুলিশ, অর্থাৎ চুরি যাওয়া সামগ্রীর প্রায় ৭০ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে। এর পাশাপাশি, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ভরি ভরি সোনার গয়না, কাঁসা-পিতলের বাসনপত্র (যা ইলামবাজারের একটি মন্দিরের চুরি যাওয়া বলে জানা যায়), এমনকি একটি টোটো ছিনতাইয়ের ঘটনাও।
চোরাই গয়না কেনাবেচায় সক্রিয় র্যাকেট
সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ আধিকারিক রানা মুখোপাধ্যায় জানান, বোলপুর শহরে চোরাই সোনার গয়না কেনাবেচার একটি সক্রিয় র্যাকেট কাজ করছে। এই রকম একটি সোনার দোকান পুলিশের নজরে এসেছে। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এমন একটি নয়, বরং চুরি যাওয়া সোনার গয়না কেনাবেচার চক্রে বেশ কয়েকটি দোকানের স্বর্ণ ব্যবসায়ী যুক্ত আছেন। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দ্রুত এই চক্রটিকে ধরার চেষ্টা চলছে।
অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, “বোলপুর শহরে বেশকিছু অসাধু ব্যবসায়ী চোরাই গয়না কিনে ব্যবসা চালাচ্ছেন। আমরা স্পষ্ট কড়া বার্তা দিতে চাই, যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা ভাবছেন চোরাই মাল কিনে সেগুলি লুকিয়ে রেখে বেঁচে যাবেন, তা কিন্তু হওয়ার নয়। তদন্তের স্বার্থে এখনই কোনও দোকানের নাম বলছি না, তবে জনসমক্ষে সেই নামগুলি নিয়ে আসা হবে।”