ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক নাটকীয় মোড় এল। ইউক্রেনের জন্য নতুন করে মার্কিন সামরিক সমর্থনের আশঙ্কা যখন মস্কোকে ভাবাচ্ছে, ঠিক তখনই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও এক শীর্ষ বৈঠকে (Summit) বসতে সম্মত হয়েছেন। অপ্রত্যাশিত এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক মহলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত হতে পারে, যদিও সঠিক তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ট্রাম্প-পুতিনের ‘উৎপাদনশীল’ ফোন কল
ট্রাম্প জানিয়েছেন, পুতিনের সঙ্গে তাঁর দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথা হয়েছে এবং এই ফোনালাপ “খুবই উৎপাদনশীল” ছিল। এই আলোচনায় যুদ্ধের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আগামী সপ্তাহে এই বৈঠকের বিশদ বিবরণ সমন্বয় করার জন্য দুই দেশের উচ্চ-পর্যায়ের উপদেষ্টারা, যার মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ রয়েছেন, তাঁরা একত্রিত হবেন।
জেলেনস্কির অনুরোধ ও আলোচনার কৌশল
এই উন্নয়নটি এমন এক সময়ে এল, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা, বিশেষ করে মার্কিন-নির্মিত দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র (Tomahawk missiles)-এর অনুরোধ নিয়ে হোয়াইট হাউসে সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ট্রাম্প স্বীকার করেছেন যে পুতিন এবং জেলেনস্কির মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে আলাদা কিন্তু সমান্তরাল বৈঠকের (separate but parallel meetings) ব্যবস্থা করা হতে পারে।