নানীর সাথে কথা বলার 5টি বিষয় যা আপনি লজ্জা করলেও বলতে পারেন

নিজের শরীরকে ঘিরেই বাঙালি নারীদের সবচেয়ে বেশি লজ্জা। যদিও নারী হিসেবে এই লজ্জাই তাদের সৌন্দর্যের একটি অংশ। কিন্তু সবক্ষেত্রে লজ্জা কখনোই কল্যাণ বয়ে আনে না। এই লজ্জার কারণেই বহু নারী স্তন বা জরায়ু ক্যান্সারের মত ভয়াবহ অসুখে ভোগেন। আর এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আবার অসংখ্য নারী নিজের ওজন, ত্বকের রঙ বা সৌন্দর্য নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগে নিজেকে বঞ্চিত করেন ও সমাজে নিগৃহীত হন। জেনে রাখুন, এই শরীরটি আপনার, একে সম্মান ও ভালোবাসা দিতে হবে আপনাকেই। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক নিজের শরীরের সঙ্গে জড়িত কোন বিষয়গুলো নিয়ে মোটেও লজ্জা রাখা ঠিক নয়-

১. জন্মের পর পরই আমাদের দেশের নারীদের শরীরে কালো আর ফর্সা রঙ নিয়ে নানা কথা বলা হয়। কালো বা শ্যামলা মেয়ের বিয়ে নিয়ে অমূলক ধারণা যুগে যুগে চলে আসছে এই সমাজে। আর তাই তো কালো ত্বকের নারীদের জীবন কেটে যায় হীনমন্যতায় ভুগে ভুগে। গায়ের রঙ কখনো একজন নারীর পরিচয় হতে পারে না! মাথা উঁচু করে সদর্পে বাঁচুন। আপনার পরিচয় আপনার ত্বকের রঙে নয়।

২. ত্বকের রঙের পরই আসে ওজনের কথা। এই সমাজ কালো নারী তো তাও সহ্য করে নেয়, কিন্তু ওজন বেশি নারীকে কেউই মেনে নিতে চায় না। একজন নারীর একমাত্র সম্বল বা পরিচয় তার দেহ নয়। আর সেই দেহ দিয়ে পুরুষের মন ভোলানো নারীর কাজ নয়। নিজের ওজন নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগবেন না কখনোই।

৩. নারীরা আরো যে জিনিসটি নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন, সেটি হচ্ছে তার স্তন। নিজের স্তনের আকৃতি নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগা একেবারেই আত্মবিশ্বাস হীনতার পরিচয়। এটা পরিহার করুন।

৪। অসুখ স্তনে হোক বা গোপন অঙ্গে, কখনো লজ্জা পেয়ে অসুখ চেপে রাখবেন না। আমাদের দেশে অসংখ্য নারী কেবলমাত্র গোপনাঙ্গে অসুখ হয়েছে বলে ডাক্তারের কাছে যান না। বছরের পর বছর অসুখ নিয়ে বেঁচে থেকে নিজেকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন। এই ভুলটি আপনি যেন করবেন না ভুলেও।

৫. খাটো বা বেঁটে হওয়ার সমস্যাটা পুরুষদের মাঝে অনেক বেশি হলেও নারীদের ক্ষেত্রেও কম নয়। মনে রাখবেন, সৃষ্টিকর্তা সকলকেই বিশেষ ভাবে বানিয়েছেন। আর তিনি যেভাবে তৈরি করেছেন সেটা নিয়েই সকলের খুশি থাকা উচিত।

৬. টেকো বা পেট মোটা বা মাথায় চুল কম থাকলে হীনমন্যতায় ভুগবেন না। পৃথিবীর সকলেরই নানান রকম শারীরিক ত্রুটি আছে, আমরা কেউইই নিখুঁত নই। তাই নিজের শরীরকে নিয়ে কষ্ট পাওয়া বাদ দিন।

৭. পিরিয়ড ব্যাপারটি নারী দেহের খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার এবং প্রকৃতির এই নিয়মকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। পিরিয়ডের কথা ফলাও করে প্রচার করার কিছু নেই, কিন্তু তাই বলে পিরিয়ডজনিত কোনো সমস্যা লুকিয়ে রাখা ও লজ্জা পাওয়ার কোনো মানে নেই। লুকিয়ে রাখা মানেই নিজের সর্বনাশ ডেকে আনা।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy