খাবার শেষ হতে না হতেই পেটে চাপ এবং শৌচাগারের দিকে দৌড় – এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। বাড়িতে থাকলে মানিয়ে নেওয়া গেলেও, বাইরে এমন পরিস্থিতি বেশ বিব্রতকর হতে পারে, কারণ সব জায়গায় শৌচাগারের সুবিধা নাও থাকতে পারে। একটা সময় পর্যন্ত এই সমস্যাকে স্বাভাবিক মনে হলেও, দীর্ঘস্থায়ী হলে এটি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
কিছু খেলেই পেটে চাপ পড়ার এই সমস্যা দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে কারও কারও ওজন কমে যেতে শুরু করে। সেইসঙ্গে রক্তচাপ কমে যাওয়ারও ভয় থাকে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ঠিক সময়ে মলত্যাগ করেন না বা চেপে রাখার অভ্যাস করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু করণীয় জেনে নিন।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান
পেটের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মটরশুঁটি, আপেল, ব্রোকলির মতো সবজি ও ফল বেশি করে খেতে হবে। এছাড়াও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। এতে পেট সহজে পরিষ্কার হবে এবং হুটহাট শৌচাগারের চাপ আসবে না। ফলে আপনাকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না।
টক দই হোক নিত্যসঙ্গী
হজমের জন্য অত্যন্ত সহায়ক একটি খাবার হলো টক দই। ভারী কোনো খাবার খেলে তার সঙ্গে টক দইও খান। এতে হজম সহজ হবে। নিয়মিত টক দই খেলে যখন-তখন পেটে চাপ আসার সমস্যা দূর হয়। টক দইয়ের তৈরি বোরহানি, লাচ্ছি খেতে পারেন। এছাড়াও সালাদেও এটি ব্যবহার করতে পারেন।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল
যেসব ফলে পটাশিয়াম আছে, সেগুলো খেলে পেটের এ ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফলের তালিকায় রয়েছে আম, কলা ইত্যাদি। এসব ফলের পাশাপাশি টমেটোও নিয়মিত খেতে পারেন। এতে সমস্যা কমে আসবে।
পেয়ারা ও আনারস
পেটের এই সমস্যা সারাতে অন্যতম কার্যকর উপায় হতে পারে পেয়ারা খাওয়া। প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেলে এ ধরনের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। সেইসঙ্গে খেতে পারেন আনারসও। আনারস পেয়ারার মতো কার্যকরী না হলেও অনেকটাই কাজ করে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন
পেটের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাসে আরও একটি পরিবর্তন আনতে হবে। একবারে অনেক বেশি খাবার খাবেন না। অল্প অল্প করে কয়েকবার খান। এতেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় এই পরিবর্তনগুলো এনে আপনি অনেকটাই আরাম পেতে পারেন।