ভারতের মিডল অর্ডারে নিজের জায়গা ধরে রাখার তীব্র বার্তা দিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রায়পুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে (India vs South Africa 2nd ODI) দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি প্রমাণ করলেন, ভারতীয় দলে তাঁর প্রত্যাবর্তন বৃথা যায়নি। এই ইনিংসের পর আসন্ন ২০২৭ সালের একদিনের বিশ্বকাপে তিনি যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইবেন, তা নিশ্চিত।
নিজেকে প্রমাণ করলেন রায়পুরে:
প্রথম ম্যাচে দ্রুত আউট হওয়া এবং মিডল অর্ডারে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা অন্যান্য তরুণদের ভিড়ে, চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে গায়কোয়াড় যেন নিজেকে প্রমাণ করার লক্ষ্যেই ছিলেন। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে, মাত্র ৮৩ বলে ১০৫ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলে তিনি কার্যত চমকে দিলেন সবাইকে। তাঁর ব্যাটে এল ১২টি চার এবং দুটি ছক্কা।
এর আগে সাতটি ওয়ানডেতে তাঁর সংগ্রহ ছিল মাত্র ১২৩ রান, স্ট্রাইক রেট ছিল ৭১.৯২। সেখানে এই শতরান তাঁর কেরিয়ারে এক নতুন মোড় আনল।
ক্রাইসিস ম্যানেজার: কোহলির সাথে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি একজন পারফেক্ট ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবেও প্রস্তুত। গায়কোয়াড় নিজেও জানিয়েছেন, কোহলির সঙ্গে ব্যাট করাটা তিনি খুব উপভোগ করেছেন।
প্রতিযোগিতা: নিয়মিত চার নম্বরের ব্যাটার শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামা রুতুরাজের জন্য সহজ ছিল না। এই সেঞ্চুরিই তাঁকে সেই প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এনে দিল।
জয়ের স্বপ্নভঙ্গ:
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক গায়কোয়াড়ের দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা এই সেঞ্চুরি থেকেই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে গায়কোয়াড়ের দুরন্ত সেঞ্চুরি সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয়। ৩৫৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এইডেন মার্করামের ১১০ রানের ঐতিহাসিক ইনিংসের সৌজন্যে তারা মাত্র ৬ উইকেট হারিয়েই ৪৯.২ ওভারে সেই রান টপকে যায়। ম্যাথিউ ব্রিটজকে (৬৪ বলে ৬৮) এবং ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (৩৪ বলে ৫৪) দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।