আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি তবে বাংলায় শাসক ও বিরোধী শিবিরের বাইরে তৃতীয় কোনও শক্তিশালী ফ্রন্ট তৈরি হতে চলেছে? বৃহস্পতিবার বীরভূমের ইলামবাজারে এক জনসভা থেকে এমনই এক ইঙ্গিত দিলেন আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নতুন দলের সঙ্গে জোটের রাস্তা খোলা রেখেই বড় বার্তা দিলেন তিনি।
হুমায়ুন কবীর ও জোট সমীকরণ: আগামী ২২ ডিসেম্বর নতুন দল ঘোষণা করতে চলেছেন হুমায়ুন কবীর। এই প্রসঙ্গে নওশাদ বলেন, “হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। আগে দেখব ওঁর দলের লক্ষ্য কী, ইস্তেহারে কী কী থাকছে। যদি মতাদর্শে মিল হয়, তবে জোটের রাস্তা নিশ্চিতভাবেই খোলা রয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন যে, শুধু বাম-কংগ্রেস নয়, তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী সব শক্তিকে তিনি এক ছাতার তলায় দেখতে চান।
দেউচা-পাচামি নিয়ে হুঙ্কার
ইলামবাজারের সভা থেকে নওশাদ সিদ্দিকী বীরভূমের জ্বলন্ত সমস্যা ‘দেউচা-পাচামি’ কয়লা খনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার: তাঁর অভিযোগ, উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের জমি ও জঙ্গল কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সরকারের ‘বুলডোজার’ নীতির বিরুদ্ধে তিনি কলকাতার রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
ওয়াকফ বিল বিতর্ক: ওয়াকফ বিল নিয়ে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিমকেও চড়া সুরে আক্রমণ করেন নওশাদ।
অনুমতি ছাড়াই সভা!
উল্লেখ্য, এদিনের সভার জন্য পুলিশি অনুমতি ছিল না বলে প্রশাসন সূত্রের দাবি। তবে কোনও অশান্তি এড়াতে ইলামবাজারের সুখবাজার গরুর হাটে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। নওশাদ অবশ্য এই সব বাধাকে গুরুত্ব না দিয়েই তাঁর কর্মসূচি চালিয়ে যান।