প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসিকে হাতের নাগালে না পেয়ে দর্শকদের একাংশের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল সল্টলেক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। কিন্তু সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যেভাবে সরকারি সম্পত্তি লুট এবং ভাঙচুরে পর্যবসিত হয়েছে, তার বিরুদ্ধে এবার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিল বিধাননগর কমিশনারেট। সরকারি সম্পত্তি চুরির অভিযোগে এবার শ্রীঘরে যেতে হতে পারে একাধিক মেসি-অনুরাগী যুবককে।
কী কী চুরি ও ক্ষতি হয়েছে? গত শনিবারের বিশৃঙ্খলার পর সিসিটিভি ফুটেজ ও ভাইরাল ভিডিও বিশ্লেষণ করে পুলিশ দেখেছে যে, শুধু ভাঙচুর নয়, রীতিমতো লুটপাট চলেছে স্টেডিয়ামে।
খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গোলপোস্টের নেট।
বাইকে চাপিয়ে ফুলের টব ও কার্পেট নিয়ে চম্পট দিয়েছেন একদল দর্শক।
সোফা সেটে আগুন লাগানো এবং ট্রেনের কামরায় ভাঙা চেয়ার নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যও ধরা পড়েছে।
গ্রেফতারের সংখ্যা বাড়ছে
ভাঙচুরের ঘটনায় আগে ৬ জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। আজ বিধাননগর দক্ষিণ থানা আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম: ১. ঋজু দাস ২. সৌম্যদীপ দাস ৩. তন্ময় দে তাদের আজ বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। সিসিটিভি দেখে আরও ১১ জন চোরকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ।
কড়া আইনি ধারা প্রয়োগ
পুলিশের শীর্ষকর্তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, এই ঘটনাকে সাধারণ আবেগ বলে লঘু করে দেখা হবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে যে ধারা প্রয়োগ করা হচ্ছে:
৩০০ ধারা (চুরি) ও ৩০৯ ধারা (লুট)।
পি-ডিপিপি অ্যাক্ট (PDPP Act): জনসম্পত্তির ক্ষতিসাধন।
এমপিও অ্যাক্ট (WBMPO Act): জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা ও নাশকতা।
পুলিশের কড়া বার্তা: বিধাননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “মেসিকে না দেখে দুঃখ হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু সরকারি সম্পত্তি চুরি করা ফৌজদারি অপরাধ। এক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে বড় বড় ইভেন্টে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে।” অভিযুক্তদের ধরতে কলকাতা, ব্যারাকপুর ও হাওড়া পুলিশের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।