লিওনেল মেসির কলকাতা সফর ঘিরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সেই নজিরবিহীন তাণ্ডবের রেশ এবার পৌঁছাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) দরজায়। স্রেফ ভিড় সামলানো বা ভাঙচুর নয়, এই ইভেন্টের নেপথ্যে থাকা বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেন নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে ইডি।
ইডির নজরে কী কী? কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই ইভেন্টে বড়সড় আর্থিক অনিয়মের ইঙ্গিত মিলেছে:
রহস্যময় লেনদেন: মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একাধিক অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা ঢুকেছে।
টাকার উৎস: ওই বিপুল টাকা কোথা থেকে এল এবং কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য।
ইসিআইআর (ECIR) তৈরির প্রস্তুতি: বর্তমানে প্রাথমিক তথ্য যাচাই চলছে। পর্যাপ্ত প্রমাণ মিললেই ইডি আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা বা ইসিআইআর দায়ের করবে।
পুলিশি তদন্ত ও নতুন গ্রেফতারি: অন্যদিকে, বিধাননগর পুলিশও বসে নেই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যুবভারতীতে ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতারির সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবারই শতদ্রু দত্তর রিষড়ার বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় পুলিশ। নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও প্রবেশ ব্যবস্থার নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেন এই চাঞ্চল্য? মেসিকে এক ঝলক দেখার জন্য কয়েক হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু অব্যবস্থা ও বিশৃঙ্খলার জেরে দর্শকরা মাঠে তাণ্ডব চালান। এখন তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই বিশৃঙ্খলার আড়ালে কি কোনো পরিকল্পিত আর্থিক দুর্নীতি বা ‘মানি লন্ডারিং’ ছিল? সেই উত্তর খুঁজতেই এখন তৎপর ইডি ও পুলিশ।