: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুর্শিদাবাদ জেলা সফরের সময় বৃহস্পতিবার বহরমপুরে তাঁর জনসভা শুরুর আগেই তুমুল শোরগোল তৈরি হয়। বাবরি মসজিদ নির্মাণ সহ লাগাতার একাধিক ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সাসপেনশনের কারণ ও ঘোষণা:
বিতর্ক: বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বেলডাঙ্গায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা ও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের বিরাগভাজন হন। তাঁকে বারবার সতর্ক ও শোকজ করা হয়েছিল।
শেষ হুঁশিয়ারি: বুধবার তিনি জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী কিছু বললেও তিনি শুনবেন না, এবং ৬ তারিখ বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর হবে। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বেলডাঙায় প্রস্তাবিত জমিও পরিদর্শন করেন।
সাসপেনশন: বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় আসার পরই কলকাতার সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জেলার দুই বিধায়ক নিয়ামত সেখ ও আখরুজজানকে সঙ্গে নিয়ে হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন।
হুমায়ুন কবীরের পাল্টা ঘোষণা:
বহিষ্কারের খবর জানতেই সঙ্গে সঙ্গে হুমায়ুন কবীর জনসভা থেকে বেরিয়ে যান এবং সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক ঘোষণা করেন:
ইস্তফা: তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার তিনি ইস্তফাপত্র জমা দেবেন।
নতুন দল গঠন: হুমায়ুন কবীর স্পষ্ট জানিয়েছেন, আগামী ২২ ডিসেম্বর তিনি নতুন দল গঠন করবেন।
চ্যালেঞ্জ: সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “এর আগেও ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল… মুর্শিদাবাদ জেলাতে ২২ তারিখে নতুন দল গঠন করে তৃণমূলকে দেখিয়ে দেব।”