বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে, ততই সরগরম হচ্ছে রাজনীতির ময়দান। এই আবহেই ভোটকুশলী থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা প্রশান্ত কিশোর (পিকে) করলেন এক বিস্ফোরক দাবি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আসন্ন নির্বাচনে তাঁর নতুন দল ‘জন সুরাজ পার্টি’ (জেএসপি)-র ওপর যদি বিহারের মানুষ আস্থা রাখেন, তবে ঝুলিতে আসবে ১৫০টিরও বেশি আসন। আর যদি মানুষ বিশ্বাস করতে না পারেন, তাহলে ১০টি আসনও মিলবে না।
নির্বাচনে লড়ছেন না পিকে, লক্ষ্য ১৫০ আসন
প্রশান্ত কিশোর ঘোষণা করেছেন, তিনি আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না। তাঁর দাবি, এটি ‘বৃহত্তর স্বার্থে নেওয়া সিদ্ধান্ত’।
লক্ষ্য: পিকে-র নতুন গজিয়ে ওঠা দলের লক্ষ্য হলো বিহার বিধানসভার ২৪৩টি আসনেই লড়া এবং ১৫০টি আসন জেতা।
‘পরাজয়’ সংজ্ঞা: প্রতিযোগিতায় আরজেডি, জেডিইউ, বিজেপি-সহ অন্যান্য পরিচিত দল থাকলেও, পিকে তাদের নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। তাঁর বক্তব্য, ১৫০-এর কম আসন পেলে সেটা ‘পরাজয়’ বলেই ধরা হবে।
জোটের প্রশ্ন নেই: তিনি স্পষ্ট করেন, জন সুরাজ পার্টি কোনো জোটে যাওয়ার প্রশ্নেই নেই।
একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকে বলেন, “এত আলোচনা, প্রচারের পর মানুষ বুঝে গিয়েছে, এই পথই বিহারের দুর্দশা থেকে মুক্তির রাস্তা। এখন মানুষ যদি বিশ্বাসের ঝাঁপ দেয়, তাহলে সব অঙ্ক উলটে যাবে। না দিলে, বুঝে-শুনে আমরাও হয়তো ১০টার কম আসনেই থেমে যাব। মাঝামাঝি কিছু হবে না।”
এনডিএ ও ইন্ডিয়া ব্লক-কে তীব্র আক্রমণ
বিজেপি-জেডিইউ-নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ও আরজেডি-কংগ্রেস জোট ‘ইন্ডিয়া ব্লক’, দু’পক্ষকেই একহাত নেন তিনি। প্রশান্তের কথায়, এখন বলটা পুরোপুরি বিহারের মানুষের কোর্টে।
পিকে বলেন,
“যদি তারা (বিহারের মানুষ) আগের মতোই দুঃখ-কষ্টে বাঁচতে চান, তাহলে যাকে খুশি বেছে নিক। কিন্তু যদি ভাল শাসন আর সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য উন্নত বিহার চান, তাহলে বিকল্প আছে, জন সুরাজ পার্টি।”
প্রশান্ত কিশোরের এই চরম আত্মবিশ্বাসের বার্তা আসন্ন নির্বাচনে বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।