কর্ণাটকের গোকর্ণে হিরিয়ুর জাতীয় সড়কে ঘটে গেল এক শিউরে ওঠা বাস দুর্ঘটনা। বুধবার রাত ২টো নাগাদ একটি যাত্রিবাহী স্লিপার বাসের সঙ্গে মালবাহী কন্টেনারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৯ জনের। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। আগুনের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে মৃতদেহগুলি চেনার উপায় নেই, পরিচয় জানতে ডিএনএ (DNA) টেস্টের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ‘সি-বার্ড’ ট্রাভেলসের বাসটি ৩২ জন যাত্রী নিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে গোকর্ণের দিকে যাচ্ছিল। ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি উল্টোদিক থেকে আসা একটি কন্টেনার লরির ডিজেল ট্যাঙ্কে সজোরে ধাক্কা মারে। মুহূর্তের মধ্যে জ্বালানি লিক করে গোটা বাসে দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। রাত হওয়ায় অধিকাংশ যাত্রীই তখন ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন।
প্রাণ বাঁচাতে পারা এক যাত্রী বিভীষিকার বর্ণনা দিয়ে বলেন, “বাসের দরজা কোনোভাবেই খোলা যাচ্ছিল না। চারিদিকে শুধু আগুন আর ধোঁয়া। আমরা জানলার কাচ ভেঙে বাইরে ঝাঁপ দিই। আর্তনাদ শোনা যাচ্ছিল ভেতর থেকে, কিন্তু আগুনের তাপে কাছে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল না কারও।”
পুলিশ জানিয়েছে, কন্টেনার লরির চালকও ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছেন। তবে বাসের চালক, ক্লিনার ও কন্ডাক্টর অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। আহত ২২ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশকর্তা রবিকান্তে গৌড়া জানান, ৫টি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকিদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।