বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে তিলোত্তমার রাজপথ। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিলে পুলিশি হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে শুভেন্দু সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তুলনা করেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কলকাতার বর্তমান প্রশাসন হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও সহ্য করতে পারছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহম্মদ ইউনূসের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।” তাঁর দাবি, একদিকে রাজ্য সরকার মানবাধিকারের কথা বলে, অন্যদিকে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই লাঠি দিয়ে সেই কণ্ঠ রোধ করা হয়। এটি গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর ওপর বড় আঘাত।
বিরোধী দলনেতা আরও অভিযোগ করেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতি এখন সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার বদলে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ওপর অত্যাচার চালানোতেই সীমাবদ্ধ। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারত সরকারকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।” কলকাতার রাস্তায় এই পুলিশি সক্রিয়তা আসলে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের অবমাননা বলেও তিনি মন্তব্য করেন।