সামনেই রয়েছে মন্দির, স্কুল এবং প্রতিনিয়ত মানুষের ভিড়ে জমজমাট বাসস্ট্যান্ড। তারই কাছে চপের দোকানের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি ‘মধুচক্র’ (Illegal Immoral Activities) চালানোর অভিযোগে নদিয়ার বেতাই বাজার (Betai Bazar) এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল।
এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের সন্দেহ ছিল, ওই দোকানের ভিতরে কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। বৃহস্পতিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ ও হাতেনাতে ধরা:
‘ঘণ্টা-চুক্তিতে’ কেবিন ভাড়া: এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, ওই খাবারের দোকানের কেবিনগুলি তরুণ-তরুণীদের মনোরঞ্জনের জন্য ঘণ্টা-চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হত। মন্দির এবং স্কুলের সামনে থাকা সত্ত্বেও চপ বিক্রির আড়ালে এই কার্যকলাপ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ: স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও চপ ব্যবসায়ী কর্ণপাত করেননি। বৃহস্পতিবার দোকান খোলা থাকা অবস্থায় এক তরুণ-তরুণীকে ভিতরে ঢুকতে দেখে আশপাশের ব্যবসায়ীরা অতর্কিতে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করেন।
অশ্লীল কাজে লিপ্ত: অভিযোগ, পিছনের দিকে পর্দার আড়াল থেকেই তাঁরা দেখতে পান ওই তরুণ-তরুণী অশ্লীল কাজে লিপ্ত আছেন।
ক্ষোভ ও পুলিশি ব্যবস্থা: হাতেনাতে ধরার পর ক্ষিপ্ত জনতা দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। স্থানীয় মানুষ এই অসামাজিক কার্যকলাপ মেনে নিতে পারছেন না, কারণ দোকানের ঠিক উল্টোদিকে রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মন্দির এবং বিশ্রামাগার, যেখানে হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা।
উদ্ধার: খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তরুণ-তরুণী সহ দোকান মালিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তালা বন্ধ: বেতাই বাজার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে দোকানটিতে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে।
বাজার কমিটির সম্পাদক: বেতাই বাজার কমিটির সম্পাদক পার্থ বিশ্বাস বলেন, “এর আগে ওই ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও তিনি শোনেননি। আমরা ওই দোকানির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাব।”
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।