সকাল সকালই আন্তর্জাতিক মহল থেকে এল এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার খবর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্ডিনো কাউন্টির ট্রোনা বিমানবন্দরের কাছে একটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে। বিমানটি ভেঙে পড়ার আগে পাইলট সময়মতো নিরাপদে নিজে লাফ দিতে (Eject) সক্ষম হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
সান বার্নার্ডিনো কাউন্টি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ঘটনাটি বুধবার ভারতীয় সময় অনুযায়ী মধ্য রাতে সান বার্নার্ডিনো এবং ইনিও কাউন্টি লাইন এলাকার কাছে ঘটেছে।
যদিও আমেরিকান সেনা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনো বিবৃতি জারি করেনি, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া খবর এবং প্রত্যক্ষদর্শীর দাবিতে বিধ্বস্ত বিমানটি F-16 মডেলের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সান বার্নার্ডিনো কাউন্টির দমকল বিভাগ জানিয়েছে, “স্টেশন ৫৭ থেকে বিমান দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই দমকল কর্মীদের দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।”
যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়ার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তীর বেগে গোঁত্তা খেয়ে বিমানটি বিমানবন্দরের জমিতে আছড়ে পড়ছে এবং সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা বিমানটি।
এই ঘটনার সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার একজন ফটোজার্নালিস্ট কেলভিন চেং ছবি তুলছিলেন। তিনি বিধ্বস্ত বিমানটিকে F-16 ফাইটিং ফ্যালকন এবং এলিট থার্ডারবার্ডস ডেমোনস্ট্রেশন দলের বিমান বলে দাবি করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমি F-16 Thunderbird 5-এর শেষ টেক-অফের ছবি তুলছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা ট্রোনা বিমানবন্দরে ভেঙে পড়ে। নেলিস থেকে ৬টি যুদ্ধবিমান উড়েছিল, কিন্তু ফিরল ৫টি।’
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পাইলট সঠিকভাবে ইজেকশন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেও, বিমানটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন বিমানবাহিনী।